বাগেরহাট

গামছা উড়িয়ে বিমানকে সিগন্যাল দিয়ে বেঁচে গেল ১৯ জেলে

বাগেরহাট, ১০ ডিসেম্বর- ইঞ্জিন বিকল হয়ে এফবি রানা নামের একটি ফিসিং ট্রলার ১৯ জেলে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ভাসছিল। ট্রলারে থাকা খাদ্য ফুরিয়ে যাওয়ায় টানা ১৫ দিন অনাহারে অনিশ্চয়তায় তাদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছিল। হঠাৎ সমুদ্রের আকাশে বিমান দেখে জেলেরা কাপড় আর গামছা উড়িয়ে সিগনাল দেয়।

এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বিমান তাদের ঘিরে আকাশে চক্কর দিতে থাকে। ঘণ্টাখানেক পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ ভরদ। বাংলাদেশি জেলেরা তখনই নিশ্চিত হতে পারে তাদের অবস্থান ভারতীয় জলসীমায়।

ভারতীয় কোস্টগার্ড বেতার বার্তায় বুধবার সকালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে কোস্টগার্ডের কাছে ট্রলারসহ বাংলাদেশি জেলেদের হস্তান্তর করে তারা।

মোংলা কোস্টগার্ড স্টেশনে বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের আনা হয়। এ সময় গভীর সমুদ্রে অনিশ্চয়তার মধ্য থেকে ফিরে আসা জেলেরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়। বিকালে কোস্টগার্ড দিগরাজ স্টেশনে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করা হয় তাদের মালিকের কাছে।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ ‘সোনার বাংলা’র অধিনায়ক কমান্ডার নিজাম উদ্দিন সরদার জানান, ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে এফবি রানা নামের একটি ফিসিং ট্রলারে ১৯ জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। হঠাৎ ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গতিহীন হয়ে পড়ে জেলেরা। গভীর সমুদ্রে উদ্দেশ্যহীন ভাসতে থাকে তারা। একপর্যায়ে ৮ ডিসেম্বর ভাসমান ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

আরও পড়ুন- কোনও ব্যক্তি নয়, নদীর নামেই হবে ‘পদ্মা সেতু’

উদ্ধার জেলেরা হলেন- ইউসুফ, আবু সুফিয়ান, রিয়াজ, শাহ আলম, সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, সমশের আলম, শাখির, তাদলিস ইসলাম, সোহেল, ইসমাইল, আবদুল মালেক, হাসান, শফিক, মোহাম্মাদ জাকির, জাফর, মাসুদ রানা ও আনোয়ার খান। এদের বাড়ি চট্টগ্রাম ও ক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়। উদ্ধার জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে কোস্টগার্ড।

সূত্র: যুগান্তর
আডি/ ১০ ডিসেম্বর

Back to top button