মঞ্চে নোবেলের মাতলামি, জুতা নিক্ষেপ: যা বললেন স্ত্রী
ঢাকা, ২৮ এপ্রিল – মাইনুল আহসান নোবেল ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের সূত্রে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন এই সংগীতশিল্পী। বিতর্কিত কাণ্ডের জেরে নোবেলের সঙ্গে থাকেন না তার স্ত্রী।
তবে সদ্য তার মাতলামিতে পণ্ড হয়ে গেছে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান।
মঞ্চে নোবেলের মাতলামিতে বিরক্ত হয়েছেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। তার এমন কাণ্ডে কিছু দর্শক তার দিকে পানির বোতল, জুতা এবং ঢিল ছুড়ে মারেন। বিষয়টি নজর এড়ায়নি নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের। নোবেলের এমন কাণ্ডে বিরক্ত তিনি নিজেও।
গায়ককে ভালো করার চেষ্টায় ব্যর্থ তিনি এমন দাবি সালসাবিলের। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকের জন্য তা হুবহু প্রকাশ করা হলো।
তিনি লেখেন, ‘সকাল থেকে শুরু করে ডজন খানেক নিউজ। সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তোবা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তা-ও আবার মাদক ঘটিত। নোবেল কোনোদিনই প্রথম থেকে এমন ছিল না। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা।
তিনি আরও লেখেন, ‘শো-তে যাওয়ার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া, সা রে গা মা পা চলাকালীন সময়ে পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার। আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।’
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন নোবেল ও সালসাবিল। সেই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায় ২০২০ সালের মে মাসে। যদিও বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো নয় নোবেলের। যার কারণে বর্তমানে তারা আলাদা থাকছেন। তবে তাদের ডিভোর্স হয়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে বান্দরবানের একটি ঘটনার কারণে নোবেলকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছিল সালসাবিল। ওই সময় নোবেল নেশায় আসক্ত ছিল। পরে নোবেল ভুল স্বীকার করে এবং নেশা থেকে বিরত থাকলে তার চিকিৎসার চেষ্টা করেন।
তবে কিছুদিন যাওয়ার পর নোবেল আবারও নেশা শুরু করে। যার ফলে আলাদা থাকতে শুরু করেন নোবেল ও সালসাবিল।
আইএ/ ২৮ এপ্রিল ২০২৩