ইউরোপ

জার্মানিতে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

বার্লিন, ২৮ এপ্রিল – জার্মানির বনে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বিরুদ্ধে ‌‘বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার’ অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বন শহরে ডয়চে ভেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে জার্মান আওয়ামী লীগ।

সমাবেশে জার্মান আওয়ামী লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন।

জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় জার্মানিতে বসবাসকারী। বাংলাদেশিরা ইতিপূর্বে কখনো ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের এহেন বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্ত দেখতে পায়নি। আমরা অবিলম্বে বাংলাদেশ বিরোধী মিথ্যা প্রচার প্রচার বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অনারারি কনসোল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, মাবু জাফর স্বপন, শবনম মিয়া কেয়া, কামাল ভূইয়া, ফিরোজ আহমেদ, আলমগীর আলী আলম, এনাম চৌধুরী, আবদুল সালাম খোকন, সগির খান, মঈন খান, আবদুল মালেক, শাহরিয়ার রাজু, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খান সাবরা , নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খানসহ অনেকে।

এ সময় জার্মান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলের কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানগুলিতে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। জার্মানির জনগণের করের অর্থায়নে পরিচালিত এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু ব্যক্তি তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মতামত ডয়চে ভেলের মাধ্যমে প্রচার করছে। ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ ক্রমাগত অনেকগুলি নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি করছে। যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি।

এতে আরও বলা হয়, ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠানবিষয়ক কার্যপ্রণালী বিধিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাদের অনুষ্ঠানগুলো অবশ্যই জনগণের স্বাধীন মতামত তৈরিতে সহায়তা করবে এবং একতরফাভাবে কোনো দল বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় সম্প্রদায়, পেশাজীবী বা বিশেষ কোনো সম্প্রদায়কে সমর্থন করবে না বা উসকে দেবে না। প্রতিবেদনগুলো যথেষ্ট স্বচ্ছ, বাস্তবসম্মত ও সত্য হতে হবে। এ ছাড়া ডয়চে ভেলে এমন কোনো অনুষ্ঠান করবে না, যাতে করে জার্মানির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ও অর্থায়নে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন যা অনৈতিক। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ও র‌্যাবের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছেন যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৮ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button