চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ, ভোটার উপস্থিতি কম
চট্টগ্রাম, ২৭ এপ্রিল – চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
এর আগে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্যকোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৮ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। এ সময় তিনি সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে উল্লেখ করেন এবং জয়লাভের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্র হচ্ছে- ১৪৭, ১৪৮ ও ১৪৯ নম্বর কেন্দ্র। ১৪৮ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন নোমান আল মাহমুদ। এ সময় তার সঙ্গে দলের বেশকিছু নেতাকর্মী ছিলেন।
এর ঘণ্টাখানেক পর কেন্দ্রটিতে যান ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তবে কয়েকটি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টরা বুথে ঢুকে ইভিএমে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন বলে কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ, ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমজান আলী।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এই আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হন মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
সূত্র: সমকাল
এম ইউ/২৭ এপ্রিল ২০২৩