পশ্চিমবঙ্গ

সভা শেষ হতেই ব্যালট লুঠ-বিশৃঙ্খলা, ‘আবার হবে ভোট’, ঘোষণা অভিষেকের

কলকাতা, ২৬ এপ্রিল – অভিষেকের সভা শেষ হতেই বিশৃঙ্খলা। ব্যালট বাক্স ভাঙচুর, ব্য়ালট পেপার লুঠ। একই ছবি সাহেবগঞ্জ ও সিতাইয়ের সভাস্থলে। ফলে গোপন ব্যালটে প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট দিতে পারলেন না সভায় আগত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে জেলা সভাধিপতির কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলের কেউ যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কোচবিহারে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন অভিষেক। তাঁর এই কর্মসূচির লক্ষ্য, জনমতের উপর নির্ভর করে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য় তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই করা। সেই কর্মসূচির অংশ স্বরূপ দু’টি সাহেবগঞ্জ ও সিতাইয়ে সভা করেন তিনি। ঘোষণা করেন, সভা শেষেই গোপন ব্যালটে প্রার্থীর নাম জানাতে পারবে আমজনতা। অভিষেকের সভা শেষের পর সেই ‘ভোটগ্রহণ’ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই থেমে যায় ভোটগ্রহণ।

অভিযোগ, সাহেবগঞ্জে ব্যালট বাক্স লুঠ করা হয়। একদল দুষ্কৃতী সভা শেষে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। ব্যালট পেপার লুঠ ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় ব্যালট বাক্স। ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন কয়েকজন। একই ঘটনা ঘটে সিতাইতেও। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন খোদ অভিষেক। জানিয়ে দিয়েছেন, এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শীতলকুচির সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা, “পঞ্চায়েতের পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজে থেকে কাল ভোট করাব। সিতাইয়ের গোঁসাইবাড়ির মাঠে আবার ভোটগ্রহণ হবে।” একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “কেউ যদি মনে করে জোর করে গণ্ডগোল করব, গা জোয়ারি-দাদাগিরি করব, তা চলবে না।”

এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে জানান, প্রচুর লোক একসঙ্গে মঞ্চের উপর জড়ো হয়েছিলেন। যার জেরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আগামিকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে একই জায়গায় ভোটগ্রহণ হবে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ২৬ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button