জেনে নিন খেজুরের কার্যকরীতা
আমাদের অনেকেরই পছন্দের তালিকায় তাহকে খেজুর ফল। তবে খেজুর যারা ভালোবাসেন তাঁরা হয়ত কখনও খেজুর খেলে শারীরিক সমস্যা দূর হয় এই বিষয়টি জানতেন না?
আর যারা পছন্দ করেন না তাঁরাও আজ থেকে খেতে শুরু করুন খেজুর। কারণ খেজুরের উপকারিতা গুলো জানলে অবশ্যই আপনি খেজুর খেতে না করবেন না।
এক নজরে দেখা নিন সেই গুণাবলী:
১। বহু যুগ ধরেই কার্যকরী ল্যাক্সাটিভ হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছাড়াও বদহজম, অ্যাসিডিটি এমন কী পাকস্থলীর আলসারেও উপশম আনে খেজুর।
২।রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। এ ছাড়া সোডিয়ামের মাত্রা (একশো গ্রামে মাত্র ২ মিলিগ্রাম) কম থাকায় এবং পটাসিয়ামের মাত্রা (প্রতি একশো গ্রামে ৬৫৬ মিলিগ্রাম) বেশি থাকায় হৃদযন্ত্রের পেশির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে খেজুর।
৩। উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকার কারণে শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে খেজুর। স্নায়বিক দৌর্বল্যের সমস্যা কাটাতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার।
৪।প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় দাঁতের রোগে উপকার করে খেজুর। নাইট ব্লাইন্ডনেস বা রাত্রিকালীন অন্ধত্বের সমস্যা মেটায়।
৫।জৈব সালফার থাকার কারণে বিভিন্ন ভাইরাল, ফাঙ্গাল, ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ দূর করে খেজুর। বিভিন্ন ফুসফুসের সংক্রমণও মোকাবিলা করতে সাহায্য করে খেজুর।
৬।যারা সারাদিন শুধু খাই খাই রোগে ভোগেন, এক সঙ্গে বেশি খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায় নিয়মিত খেজুর খেলে।
৭।বাড়ন্ত বাচ্চা, গর্ভবতী মহিলা, কিশোর-কিশোরীদের খাবারে শক্তির জোগান দিতে খেজুরের বিকল্প নেই।
তাই রোগে জর্জরিত হয়ে সারাদিন বিভিন্ন রকমের ওষুধ খেয়ে মন ভারাক্রান্ত? মুখে স্বাদ নেই? চিন্তা না করে বরং হাত বাড়ান এক মুঠো খেজুরের দিকে। তাতেই হবে কেল্লাফতে।
আডি/ ০৯ ডিসেম্বর