ইউরোপ

ব্রেক্সিট: একটি ভালো বাণিজ্য চুক্তি এখনো সম্ভব

লন্ডন, ০৯ ডিসেম্বর- ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এখন আলোচনা হচ্ছে বাণিজ্য চুক্তির ওই বিষয়গুলো যেগুলো এত দিন সদস্য দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রীরা মানতে রাজি ছিলেন না।’ বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) ব্রেক্সিট আলোচনার সর্বশেষ নিয়ে বিবিসি অনলাইনের করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

যদিও ব্রেক্সিটপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তি দিচ্ছেন, বাণিজ্য চুক্তি কিংবা চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসা ব্রিটেনের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এতে দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ খুলবে। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে শুরু হওয়া মন্দা থেকে মুক্তি পেতেই যখন গোটা বিশ্ব মরিয়া তখন এর সঙ্গে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশি চাপে ফেলবে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চলমান আলোচনার মাঝে সাংবাদিকদের বরিস জনসন বলেন, ‘এখনো একটি ভালো বাণিজ্য চুক্তি করা সম্ভব। সময় ফুরিয়ে যায়নি।’

তবে, ব্রিটেনের হাতে বেশি সময় যে নেই তা মানছেন ব্রেক্সিট সমর্থকরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছাড়লেও ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ডের কারণে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনকে বিধিগুলো মেনে চলতে হবে।

বেসরকারি খাতে মজুরির ভর্তুকিসহ ব্যয়বহুল জরুরি রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার পরেও কয়েক বছর দীর্ঘায়িত না হলেও কয়েক মাসের মধ্যে নাটকীয়ভাবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। এমন আশঙ্কার মধ্যেও আগামী ১ জানুয়ারি ব্রিটেন ইইউর একক বাজার ছেড়ে আলাদাভাবে অনিশ্চিত যাত্রা করবে। যেখানে কয়েক বছর ধরে ইইউর একক বাজারে একক শুল্ক ইউনিয়নের কারণে উপকৃত হয়ে আসছে ব্রিটেনের অর্থনীতি।

আরও পড়ুন : ভারতে রহস্যজনক অসুখে হাসপাতালে ভিড়

তবে বণিজ্য চুক্তি না হলে ব্রিটেনকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিওটিও) বিধিতে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। যেখানে গাড়ির ছোট যন্ত্রাংশ থেকে মাংস পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসীমা বা পণ্যগুলো শুল্কের আওতায় চলে যাবে। দেশটির সংস্থাগুলো রাতারাতি বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ব্যয়ের মুখোমুখি হবে। এতে তারা বিশেষত আমদানি করা তাজা খাবার পণ্যগুলোর অতিরিক্ত খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৬ সালে ব্রিটিশ ভোটাররা যখন ইইউর সঙ্গে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে চলে আসা সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে ভোট দিয়েছিল, তখন ব্যবসা ও বাজারগুলো হতবাক হয়েছিল। এর সাড়ে চার বছর পরে এসেও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একটি শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকি তারা ব্রাসেলসে চলমান আলোচনায় ব্রিটেনকে সমঝোতার আহ্বানও জানিয়েছেন।

সূত্রঃ বিবিসি
আডি/ ০৯ ডিসেম্বর

Back to top button