‘হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লাইনের পয়েন্ট মেলানো যায়নি’
কুমিল্লা, ১৭ এপ্রিল – কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রোববার রাতের ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কম্পিউটার পদ্ধতিতে লাইনের পয়েন্ট মেলানো যায়নি, তখন ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহারের আগেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নাঙ্গলকোটে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। উপজেলার হাসানপুর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের পেছন থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয়। এতে লাইনচ্যুত হয় সাতটি বগি। আহত হন অন্তত ৫০ জন।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে হাসানপুর স্টেশন কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মাহমুদুল ইসলাম, বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে সিগনাল পয়েন্ট সচল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এর আগেই সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকে মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনাস্থলে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি বগি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাইনের কিছু অংশও ভেঙে গেছে। চারটি বগি ২০ ফুট দূরে পাশের খাদে পড়ে গেছে। মালবাহী ট্রেনের ভেতর থেকে মালামাল বাইরে ছিটকে পড়ে গেছে।
আখাউড়া থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজ করছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে।
এদিকে ঘটনাটি তদন্তে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসন দুটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র: সমকাল
এম ইউ/১৭ এপ্রিল ২০২৩