জাতীয়

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেল ৭১ প্রতিষ্ঠান

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল – ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি খাতে অবদান রাখায় ৭১টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে। রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হতে ট্রফি তুলে দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। খুব শিগগির বাংলাদেশ এ অঞ্চলে বাণিজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা সার্বক্ষণিক গ্যাস-বিদ্যুৎ পেতে যে সমস্যায় পড়েছেন, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রপ্তানি ক্ষেত্রে সুবিধাগুলো ধীরে ধীরে কমে আসছে। গ্যাসের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কলকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।
এ. কে. আজাদ বলেন, করোনার সময় অনেক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা না করলে টিকে থাকা কঠিন হতো। বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অধিকাংশ কারখানায় পুরোপুরি কাজ নেই। তিনি উল্লেখ করেন, আগামী ২০২৬ সালের পর থেকে বিদেশি ক্রেতারা মোট পণ্যের ২৫ শতাংশ রিসাইকেল পণ্য নেবে। এ চাহিদা পূরণে তিনি পুরোনো কাপড় আমদানির নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে কৃত্রিম তন্তু ও কৃত্রিম তন্তুর সুতা আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

যারা ট্রফি পেল: সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ইউনিভার্সেল জিন্স বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে। তৈরি পোশাকের ওভেন ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির হাত থেকে এ. কে. আজাদ এ ট্রফি গ্রহণ করেন। এ ছাড়া একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হা-মীম ডেনিম টেক্সটাইল ফেব্রিক্স ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। হা-মীম গ্রুপের পরিচালক সাজিদ আজাদ এ ট্রফি গ্রহণ করেন।

ওভেন ক্যাটাগরিতে স্নোটেক্স আউটওয়্যার রৌপ্যপদক এবং তারাশিমা অ্যাপারেলস ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। নিটওয়্যারে স্বর্ণপদক পেয়েছে জিএমএস কম্পোজিট নিটিং, স্কয়ার ফ্যাশনস রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ফ্লামিংগো ফ্যাশন। সব ধরনের সুতা ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ স্কয়ার টেক্সটাইল, রৌপ্য বাদশা টেক্সটাইলস এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং। টেক্সটাইল ফেব্রিক্সে স্বর্ণ পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স এবং রৌপ্য পদক পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইলস। হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাতে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স এবং টেরিটাওয়েলে স্বর্ণ পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস।

ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে স্বর্ণপদক বেক্সিমকো ফার্মা, রৌপ্য স্কয়ার ফার্মা এবং নিপ্রো জেএমআই ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। চামড়াজাত পণ্যে পিকার্ড বাংলাদেশ স্বর্ণ এবং এবিসি ফুটওয়্যার রৌপ্যপদক এবং ফুটওয়্যার খাতে বে-ফুটওয়্যার স্বর্ণ, এফবি ফুটওয়্যার রৌপ্য ও আকিজ ফুটওয়্যার ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে প্রাণ ডেইরি স্বর্ণপদক, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড রৌপ্য এবং হবিগঞ্জ এগ্রো ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য খাতে বেঙ্গল প্লাস্টিকস স্বর্ণপদক, ডিউরেবল প্লাস্টিক রৌপ্য এবং বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। সিরামিক সামগ্রী খাতে স্বর্ণপদক শাইনপুকুর এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে আর্টিসান। হালকা প্রকৌশল খাতে এম অ্যান্ড ইউ সাইকেলস স্বর্ণপদক, মেঘনা বাংলাদেশ রৌপ্য এবং ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্টস ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং স্বর্ণপদক এবং বিআরবি কেবল রৌপ্যপদক পেয়েছে।

ট্রফি প্রাপ্তদের তালিকায় আরও রয়েছে বিডি সি ফুড , ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড, এম ইউ সি ফুডস, ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স, উত্তরা পাট সংস্থা, আকিজ জুট মিলস, জনতা জুট মিলস, করিম জুট স্পিনার্স, মেরিন সেফটি সিস্টেম, তাসনিম কেমিক্যালস কমপ্লেক্স, বিএসআরএম স্টিলস, সার্ভিস ইঞ্জিন, গোল্ডেন হার্ভেস্ট ইনফোটেক, প্যাসিফিক জিন্স, এনএইচটি ফ্যাশন, শাশা ডেনিমস, ফারদিন এক্সেসরিজ, আর. এম. ইন্টারলাইনিংস, মনট্রিমস, এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং, ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন, নিহাও ফুড, এক্সপো ফ্লেইট, মীর টেলিকম, পাইওনিয়র নিটওয়্যার, বি-কন নিটওয়্যার, ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বিডি ক্রিয়েশন ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস, মনসুর জেনারেল ট্রেডিং, আল আজমী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং এলিন ফুডস।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১৬ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button