‘সভাপতির আশকারায় সোহাগের এ অবস্থা’
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল – দেশের ফুটবলে এখন একটাই আলোচনা– বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈমের নিষেধাজ্ঞা। বাফুফের চাকরিজীবী হয়েও ফেডারেশনে দুর্দান্ত প্রতাপে চলাচল করা সোহাগের এই অবস্থার জন্য সাবেক ফুটবলাররা দায় দিয়েছেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে। তাঁর আশকারাতেই নানা অনিয়ম করেছেন সোহাগ– এমনটাই মনে করেন শেখ আসলাম, হাসানুজ্জামান বাবলুর মতো সাবেক ফুটবলাররা।
দরপত্রে অনিয়ম এবং ফিফা ফান্ডের অপব্যবহারের কারণে ফুটবলের কর্মকাণ্ড থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সোহাগ। তাঁর এই নিষেধাজ্ঞা শুধু ব্যক্তির নয়, বাংলাদেশের ফুটবলের জন্যও বড় লজ্জা বলে মনে করেন আসলাম।
তিনি বলেন, ‘এটাই তো হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য লজ্জার অধ্যায় সূচিত হলো। খুবই হতাশাজনক একটি ঘটনা। সোহাগের নিষেধাজ্ঞা মানে দেশের ফুটবলের নিষেধাজ্ঞা। গত ১৫ বছর ধরে এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফিফার মাধ্যমে তা প্রকাশ পেল এবং বিশ্বের কাছে দেশের ফুটবলের দুর্নীতি প্রকাশ পেল। বাফুফে সভাপতির ছত্রছায়া ছাড়া এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। কারণ, সোহাগ ফুটবল ফেডারেশন চালাত সভাপতির নির্দেশনায়। শীর্ষ কর্তা যেভাবে বলেছেন, সেক্রেটারি সেভাবে চালিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার এবং হতাশাজনক।’
একই সুর হাসানুজ্জামান বাবলুরও, ‘এখন আর ফুটবলার পরিচয় দেওয়ার সুযোগ নেই। ফুটবলের কালো অধ্যায় গতকাল (শুক্রবার) রচনা হয়ে গেছে। এখন থেকে আর আমাদের ফুটবলারদের উত্তরণের কোনো সুযোগ নাই। এই কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গেই আমি ফুটবল খেলেছি একসঙ্গে ১০ বছর। কাজী সালাউদ্দিন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই আজ দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশের ফুটবল কলঙ্কিত এবং সাজাপ্রাপ্ত। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়েই বাদল রায়কে হেনস্তা করা হয়। তাঁকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফিফার মাধ্যমে বেরিয়ে এলো বাদল রায় সত্য ছিলেন।’
সূত্র: সমকাল
এম ইউ/১৬ এপ্রিল ২০২৩