উত্তর আমেরিকা

মার্কিন নথি ফাঁসকারীর ‘বয়স ২০-এর ঘরে, কাজ করতেন সামরিক ঘাঁটিতে’

ওয়াশিংটন, ১৩ এপ্রিল – মার্কিন সামরিক গোপন নথি ফাঁস করেছেন এক তরুণ। তার বয়স ২০ এর ঘরে এবং তিনি একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কাজ করতেন। একটি অনলাইন চ্যাট গ্রুপের কয়েকজন সদস্যের বরাত দিয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) এসব তথ্য জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে নথি ফাঁসকারীর নাম প্রকাশ করেনি পত্রিকাটি।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, নথি ফাঁসকারী তরুণও ওই অনলাইন চ্যাট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তাছাড়া বন্দুক অর্থাৎ অস্ত্রের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।, বলছে তারা।

জানা যায়, গেমারদের কাছে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম ডিসকর্ডে ওইসব অতি গোপনীয় নথি ছড়িয়ে দেন। গ্রুপটিতে প্রায় ২৪ জন তরুণ ও কিশোর নিজেদের মধ্যে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি পারস্পরিক ভালোবাসার কথা আলোচনা করতো।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন নিয়ে রয়টার্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে নথি ফাঁস নিয়ে কয়েকদিন আগেই ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন আইন মন্ত্রণালয়। গোপনীয় নথিগুলো ফাঁস হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের এসব গোপন সংবেদনশীল নথিগুলো ডিসকর্ডের পাশাপাশি অনলাইন মেসেজিং বোর্ড ৪চ্যান, এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ও টুইটারেও প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তদন্ত ডেকে এনেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে ডিসকর্ড জানায়, নথি ফাঁস তদন্তে তারা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করছে।

সম্প্রতি টুইটার, টেলিগ্রাম, ডিসকর্ডসহ অন্যান্য সাইটে মার্কিন গোপন নথির কয়েক ডজন ছবি দেখা গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে গোপন নথির দেখা মিললেও কেবল গত সপ্তাহ থেকে এসব মিডিয়ার নজরে আসে। মনে করা হচ্ছে, এসব নথিতে ইউক্রেন যুদ্ধের গোপন তথ্যসহ মার্কিন মিত্রদের স্পর্শকাতর বিশ্লেষণাবলী রয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা ক্রিস মেঘের বলেছেন, অনলাইনে প্রকাশিত নথিগুলো জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া এর ফলে ভুল তথ্য ছড়ানোরও আশঙ্কা রয়েছে। এটি কীভাবে ঘটলো, আমরা তা নিয়ে এখনো তদন্ত করছি।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে নথিগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথমে দেখা গেলেও, এখন অনেক নথিই আর দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন সরকার অনলাইন থেকে এসব নথি সরিয়ে ফেলতে কঠোরভাবে কাজ করছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৩ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button