আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন
ঢাকা, ০৮ এপ্রিল – ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গি দেশে আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের পরিকল্পনায় দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। এর আগে সিটিটিসি প্রধান পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা তাসনিম শিখাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘হামলা বা জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যায় থেকে এসেছিল। এর বাইরে পরিকল্পনায় আরো যারা যারা ছিল, তাদের নামগুলো আমরা পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে নামগুলো বলছি না।’
জঙ্গি ছিনতাই পরিকল্পিত হলে গোয়েন্দারা আগে জানল না কেন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সবকিছুই যে গোয়েন্দারা জানতে পারবে এমন কোনো কথা নেই। কাজটি তারা অতি গোপনে করেছে। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গির সঙ্গে দেখা করেছে।’
‘স্বামী-স্ত্রী যখন হাজতখানায় দেখা করেছে। ইশারা-ইঙ্গিতে তারা একথাগুলো (পালিয়ে যাবার প্লান) বলেছে। আমরা যারা এসব নজদারি করি, তাদের নজর এড়িয়ে তারা কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে।’
দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার দিন আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী শিখা আদালত চত্বরে ছিল কি না প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা সেখানেই ছিল। পৃথক দুটি মোটরসাইকেলে জঙ্গিরা পালিয়ে গিয়েছিল। সেটা মনিটরিং করেছে শিখা আর আইমান। এই অভিযানে ১০/১২ জন অংশ নিয়েছিল।’
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর পুলিশের চোখে স্প্রে করে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গন থেকে আনসার আল ইসলাম দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব নামের এই দুই জঙ্গি প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ০৮ এপ্রিল ২০২৩