জাতীয়

ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও মজুদ করলে ১৪ বছর জেল

ঢাকা, ০৬ এপ্রিল – ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ঔষধ ও কসমেটিক্স বিল ২০২৩ সংশোধনীর জন্য সংসদে তোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। মানহীন ও নকল কসমেটিক পণ্য আটকাতে যুক্ত করা হয়েছে এ ব্যবসার জন্য ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান।

এতে বলা হয়েছে, কসমেটিক পণ্য বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। এখন যারা কসমেটিক ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ ছাড়া বিলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যাক্ট ও ১৯৮২ সালের ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্টকে যুগোপযোগী করে এই বিল আনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ ও টিকা তৈরির বিষয়টি। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ রাখা এবং এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ওষুধ হিসেবে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলেও উল্লেখ আছে বিলে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৬ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button