কুষ্টিয়া

মামুনুল হক-ফয়জুল করীমের বয়ানে কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুর

কুষ্টিয়া, ০৬ ডিসেম্বর – কুষ্টিয়ার শহরতলীর শাপলা চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবু বক্কর (১৯) এবং সবুজ ইসলাম (২০) জানিয়েছেন, ইসলামি বক্তা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলণে এ তথ্য জানান পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ মহিদ উদ্দিন।

এর আগে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশ ভাঙচুর করেন তারা। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে প্রথমে মাদরাসার দুই শিক্ষক এবং পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ভোরে ওই দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করতে আবু বক্কর ও সবুজকে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন (২৭) এবং ইউসুফ আলী (২৬) সহায়তা করেন।

আরও পড়ুন : যারা ভাস্কর্য ভাঙে তারা পাকিস্তানিদের বংশধর, রাজাকারের প্রেতাত্মা

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় শনিবার রাত ২টা ৫ মিনিটের সময় যখন মাদরাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়েন, তখন তারা দুজনে গোপনে মাদরাসা থেকে বের হয়ে হেঁটে শাহীন কাউন্সিলরের বাসার সামনে দিয়ে কানাবিল মোড় পার হন। এরপর কমলাপুর হয়ে মজমপুর রেললাইন ধরে ফজলুল উলুম মাদরাসার পাশ দিয়ে পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাস্কর্যের কাছে আসেন। তারপর ভাস্কর্য নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বাঁশের মই দিয়ে উপরে উঠে নাহিদুল ইসলামের ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে আবু বকর মিঠুন ও সবুজ ইসলাম দুজন মিলে রাত ২টা ৫ মিনিট থেকে রাত ২টা ১৩ মিনিট পর্যন্তু নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটির বিভিন্ন জায়গায় হাতুড়ি দিয়ে জোরে আঘাত করেন। ভাস্কর্যটির ক্ষতিসাধন করে পুনরায় হেঁটে মাদরাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

সকালে মাদরাসার শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলীকে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়টি জানালে দুজনই তাদের মাদরাসা থেকে দ্রুত পালিয়ে যেতে বলেন।

এ ঘটনায় রোববার কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন রয়েছেন বলেও জানায় পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

সুত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এ/ ০৬ ডিসেম্বর

Back to top button