জাতীয়

‘ভাস্কর্য বিরোধীদের প্রতিহত করতে নারীদের গর্জে ওঠার আহ্বান’

ঢাকা, ০৬ ডিসেম্বর- ভাস্কার্য বিরোধীদের প্রতিহত করতে নারীদের গর্জে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

আজ রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ে প্রশাসন ও পেশাজীবীদের সাথে এক অলাইন মতবিনিময়’ সভায় নারীদের এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনো বিষয় মেনে নেওয়া হবে না। যারা এ ধরনের ঘৃনীত কাজ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, যারা নারীর অধিকার মানে না, মানে তেঁতুল তত্ত্ব, তারা শুধু নারী ধর্ষণকারীদের পক্ষে কথা বলে। তাদের জায়গা দুই লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে হবে না। তাদের জায়গা ওই পাকিস্তানে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মা-বোনেরা গর্জে উঠো, জেগে উঠো নারীরা প্রতিহত কর ওই ধর্ম বিরোধী-স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদিদের।

‘ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ- আসুন নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি।’’ স্লোগানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম এর সভাপতিত্বে অুনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক, ড. মো: শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ, জাতীয় বার্ন ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিচারকার্য আর আগের মতো ঝুলে থাকবে না। বর্তমানে সময়ের প্রয়োজনে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে বিচার শেষ হচ্ছে। এখন জনগণ সুফল পাচ্ছে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, যৌতুক, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কমিটি পূনর্গঠন করা হয়েছে। সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সাথে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের একসাথে কাজ করতে হবে।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পূনর্বাসনের জন্য নারী পূনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। নির্যাতিত মা-বোনদের বিরাঙ্গনা উপাধীতে ভূষিত করে মর্যদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সৃস্টি করেন। জতির পিতার পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার সম-মর্যাদার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

সূত্র: আরটিভি
আডি/ ০৬ ডিসেম্বর

Back to top button