ঢালিউড

যখন মুম্বাই ছিলাম তখন চিঠিটা পাঠিয়েছে, যাতে উত্তর দিতে না পারি

ঢাকা, ০১ এপ্রিল – বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। পদটি নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যে কোর্ট-কাচারিও হয়েছে। এদিকে, অভিনেতা রুবেল ও অভিনেত্রী সুচরিতার সদস্যপদ স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। খবর রটেছে, জায়েদ খানের সদস্য পদও স্থগিত হতে পারে।

আগামী রোববার (২ এপ্রিল) জরুরি সভা ডেকেছে শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। শোনা যাচ্ছে, মিটিংয়ের মূল আলোচনার বিষয় জায়েদ খান। এই জরুরি সভা থেকে আসতে পারে জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত। যদিও এ নিয়ে আগাম কোন মন্তব্য করছেন না সমিটির কোনো সদস্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে চিত্রনায়ক জায়েদ খান জানান, ‘আমি যখন মুম্বাই গিয়েছিলাম, ঠিক তখনই আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাতে আমি চিঠির উত্তর দিতে না পারি। এখন সেই ইস্যু তুলে আমার বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম চালাচ্ছে। রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপার কার্যনির্বাহী পদ বাতিল করা হয়েছে। এবার আমার পেছনে লেগেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর ক ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাটি এমন যে, সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন। হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।’

নায়কের দাবি, ‘জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেওয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সদস্যপদ বাতিলের পায়তারা করছে।’

এদিকে, গেল ২০২১-২০২৩ মেয়াদী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক রুবেল সহ-সভাপতি ও অভিনেত্রী সুচরিতা কার্যনিবাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারা কার্যনিবাহী কমিটির পরপর তিন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেননি, এমনকি সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজে দেখা যায়নি বলে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি।

এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপার সঙ্গেও অন্যায় হয়েছে। আদালত যখন সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার রায় দিয়েছে, তখন তারা কেউই সমিতির মিটিংয়ে যায়নি। তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবতো সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের চিঠি দিতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিঠি দিতে পারেন সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ-সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তা হয়নি। এ বিষয়ে সুচরিতা ম্যাডাম ও রুবেল সাহেব ব্যাখ্যা চাইলেও জবাব মেলেনি। উল্টো তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া হয়।’

আইএ/ ০১ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button