পুষ্টি

জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

টক স্বাদের জলপাইয়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে বেশ। জলপাই দিয়ে সুস্বাদু সব আচার তৈরি করা যায় বলে এর কদর রয়েছে সবার কাছেই। আচার তৈরি করা ছাড়াও এটি কাঁচা, ভর্তা করে খাওয়া যায়। ভিটামিন সিতে ভরপুর জলপাই আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে-

জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ:

জলপাই খুবই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাইয়ের খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে: খাদ্যশক্তি- ১৪৬ কিলোক্যালরি, শকরা-৩.৮৪ গ্রাম, চিনি-০.৫৪ গ্রাম, খাদ্য আঁশ- ৩.৩ গ্রাম, চর্বি-১৫.৩২ গ্রাম, আমিষ-১.০৩ গ্রাম, ভিটামিন এ- ২০ আইইউ, বিটা ক্যারোটিন-২৩১ আইইউ, থায়ামিন-০.০২১, রিবোফ্লাবিন-০.০০৭ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন-০.২৩৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬-০.০৩১ মিলিগ্রাম, ফোলেট-৩ আইইউ, ভিটামিন ই-৩.৮১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে-১.৪ আইইউ, ক্যালসিয়াম-৫২ মিলিগ্রাম, আয়রন-৩.১ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম-১১মিলিগ্রাম, ফসফরাস-৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৪২ মিলিগ্রাম।

জলপাইয়ের উপকারিতা:

আমাদের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমলে হার্টএ্যটাকের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জলপাইয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জলপাইয়ে রয়েছে মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী।

জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

জলপাইয়ে যে খাদ্যআঁশ আছে তা মানুষের দেহের পরিপাকক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমে সহায়তা করে।

জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ওষুধের কাজ করে জলপাই।

জলপাইয়ের এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।

শুধু ফলের নয়, জলপাই পাতারও রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। যেমন- জলপাই পাতা ছেঁচে কাটা স্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে যায়।

আডি/ ০৬ ডিসেম্বর

Back to top button