বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোনীত প্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা। এই পদে মনোনয়নের সময় শেষ হয়ে গেলেও অন্য কারও নাম না আসায় ধরে নেওয়া যায়, তিনিই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে অজয় বাঙ্গার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কারও মনোনয়ন দাখিল হয়নি।
রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার অজয় বাঙ্গার নিয়োগের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তবে মে মাসের শুরুতে বিষয়টি নিশ্চিত করবে বিশ্বব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, তিনি আশা করছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে অজয় বাঙ্গা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করবেন, যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও ভঙ্গুরতা।
৬৩ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছেন। তাতে তাঁর নির্বাচিত হওয়া একরকম নিশ্চিত। যেসব দেশের সমর্থন তিনি পেয়েছেন, সেগুলো হলো বাংলাদেশ, ব্রিটেন, কলম্বিয়া, মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইতালি, আইভরি কোস্ট, জাপান, কেনিয়া, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এমন একসময়ে অজয় বাঙ্গা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন, যখন বহুজাতিক সংস্থাটির সংস্কার নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। ফলে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে সংস্কারকাজের নেতৃত্ব দিতে হবে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, বিশ্বব্যাংক সংস্কারের মধ্য দিয়ে তিনি চান, সংস্থাটি যেন জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী হয়। মূলত ব্যাংকের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার বৃদ্ধি, উদ্ভাবনী অর্থায়ন নীতি গ্রহণ ও বেসরকারি সম্পদ সংগ্রহ করায় জোর দেন তিনি।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস জানুয়ারি মাসে ব্যাংকের পুঁজি বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাংকের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া তা সম্ভব হবে না বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জ্যানেট ইয়েলেন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের বাজেট শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখনই পুঁজি বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি না। বরং আমরা যেটা দেখতে চাই সেটা হলো, বেসরকারি খাতের সম্পদ সংগ্রহ আরও জোরদার করা, সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগ বৃদ্ধি।’
আইএ/ ৩০ মার্চ ২০২৩