জাতীয়

সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না পড়ার নির্দেশ

ঢাকা, ৩০ মার্চ – দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন। রোডম্যাপ থেকে যেন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম এসব কথা বলেন৷

সমন্বয় সভার এ বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমানসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সকল কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। এবং নির্বাচন কমিশনাররাও ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন,’ যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না থাকি।

সচিব বলেন, নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সকল বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি ব্যালট বক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলো যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।

পাঁচ সিটি ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত কমিশন বৈঠকে হবে বলে জানান সচিব।

আরপিও সংশোধন সম্পর্কে জাহাংগীর আলম বলেন, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোন অংশ বাতিল বা কোনটা রাখা হবে সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। মিডিয়াতে দুটো বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি জেলায় একজন রিটার্নিং অফিসার থাকে, এখন আসন শব্দটা যোগ করা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়াতে প্রতি আসনে একজন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আইনের ধারাটা না পড়েই ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন করতে পারেন—জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনও একটি ফলাফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিবরণীটা কমিশনে পাঠাবে। তখন যদি গুরুতর কোনও অনিয়ম হয় তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় গুরুতর অপরাধে ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় নাই, তখন তারা বাতিল করতে পারবেন। এখানে গেজেট-প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল কথাটা কিন্তু না।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ৩০ মার্চ ২০২৩

Back to top button