জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে বড়লোক দেশগুলো লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে

ঢাকা, ২৯ মার্চ – বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি একবার নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন। আমি তখন অনেকগুলো বড় বড় রাষ্ট্রকে বলেছিলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। উনি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। কেউ কোনো উত্তর দেননি তখন। কিন্তু এখন এই বড়লোকের দেশগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দৈনিক প্রাচ্যবাণী এ সেমিনারের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু স্বাধীনতা এনে দিয়েই ক্ষান্ত হননি। এ স্বাধীনতাকে একটি শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে যা যা করার দরকার তার সবকিছুই তিনি করে গেছেন। তার সরকারের আমলে অল্প সময়ের মধ্যে জাতিসংঘসহ ১৩৬টি দেশের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়, প্রায় সবগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য পদ লাভ, একটা শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। পৃথিবীর খুব অল্প সংখ্যক রাষ্ট্রনেতার পক্ষে এটা করা সম্ভব হয়েছে। তার হত্যাকাণ্ডের পর এদেশের মানুষের ওপর দুর্গতি নেমে এসেছিল।

আব্দুল মোমেন বলেন, এখন আবার আমরা আনন্দিত। কারণ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে গত ১৪ বছরে বাঙালির অবস্থানের বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। এই যে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছি, তার ফলে আমাদের দেশের ইজ্জত-মর্যাদা অনেক বেড়েছে।

তিনি বলেন, এই যে আমাদের উন্নয়ন আর সম্মান, এটাকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন আঞ্চলিক শান্তি ও সরকারের স্থিতিশীলতা। যেসব দেশে স্থিতিশীলতা রয়েছে, সেসব দেশে উন্নয়ন সহজেই ত্বরান্বিত হয়। সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ অনেক দেশই অল্প সময়ে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। এই উন্নয়নের পেছনে রয়েছে স্থিতিশীল সরকার, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং প্রতিশ্রুতি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যদি এই স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি, তাহলে আমরা উন্নতির সব মানদণ্ডে উতরে যাবো এবং ২০৪১ সালে একটি স্থিতিশীল, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে পারবো। এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ৫২ বছর ধরেই এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রাপ্তি কম। এই ৫২ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল মাত্র সাড়ে ২২ বছর। অন্যদিকে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ারা ক্ষমতায় ছিল ২৯ বছর। এই ২৯ বছরে এদেশের মানুষ কিছুই পায়নি। এদেশের মানুষের যা কিছু প্রাপ্তি, সবই আওয়ামী লীগের আমলে পেয়েছে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জন সবাই নিজ জায়গা থেকে তুলে ধরলে সামনের নির্বাচনে অন্য কোনো দল জিততেই পারবে না। সারাদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যার অবদানের কথা তুলে ধরলে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্বই থাকবে না। অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলম রচিত ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে ও দৈনিক প্রাচ্যবাণীর সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলম রচিত ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ২৯ মার্চ ২০২৩

Back to top button