জাতীয়

সংবিধানের দোহাই দিয়ে এবার পার পাওয়া যাবে না

ঢাকা, ২৯ মার্চ – আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে সংবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের দাবিতে বেগম খালেদা জিয়াও সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত করেছিলেন। অতএব আপনাদেরকে সংবিধবান সংশোধন করতে হবে।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘স্বাধীনতার ৫২বছর, বিপর্যস্ত টেক্সটাইল সেক্টর’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটেব)।

আমীর খসরু বলেন, একটি জায়গায় গিয়ে বাংলাদেশ আটকে আছে। সেটি হচ্ছে ভোটের অধিকার। সেটাকে আটকাতেই আজকে দেশে গুম, খুন, অনিয়ম সব হচ্ছে। আজকে পেটের ক্ষুধা নিয়ে একটি বাচ্চার বক্তব্য দিয়ে রিপোর্ট করায় প্রথম আলোর সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গেছে। তার আগে একজন সরকারি নারী কর্মচারীকে তুলে নিয়ে গেছে। এগুলো তো দুদিনের ঘটনা। এসবই হচ্ছে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য। এভাবে তারা বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করেছে। গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এগুলোই হচ্ছে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য। মূলত ক্ষমতায় থাকা ও জোর করে ক্ষমতা দখলের জন্যই এসব করা হচ্ছে। সেজন্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচারের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। একটা দখলদার সরকার এসব করছে।

তিনি বলেন, সরকার বলছে সংবিধান মোতাবেক নাকি নির্বাচন করতে হবে। আর তারা অন্যদিকে গুম খুন করছে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আপনারা কোন সংবিধানের কথা বলছেন? এই যে লোকগুলোকে তুলে নিয়ে গেছে এগুলো কি সংবিধানের কাজ? এগুলো তো সংবিধান বহির্ভূত কাজ। আজকে গুম খুন হত্যা, মিথ্যা মামলা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা কি সংবিধান বিরোধী কাজ নয়? এসব তো দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

‘সংবিধানে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু জনগণের দাবিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত করেছিলেন। অতএব আপনাদেরকে সংবিধবান সংশোধন করতে হবে। আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে বলব- এখন ভালোভাবে চিন্তা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আগে সংবিধান সংশোধন করবেন না পরে করবেন’—যোগ করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত অধিকার সংরক্ষণ করা ও বাংলাদেশে শান্তি রাখা এবং রাজনৈতিক অধিকারের জন্য হচ্ছে সংবিধান। এখন সবকিছু কেড়ে নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাবেন না। সংবিধান পরিবর্তন করা হবে। যেভাবে সাহাবুদ্দিন সাহেবের আমলে সংবিধান সংশোধন। যদি মনে করেন আগে সংশোধন করা হবে, করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাভ নেই।

দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ২৯ মার্চ ২০২৩

Back to top button