বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে সব পক্ষ উপকৃত হবে

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবেন। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছতর ছবি পাবেন। অপারেটররাও ব্যবসায়ের ঠিক হিসাব রাখতে পারবেন। আবার সরকারও ঠিকভাবে রাজস্ব পাবে। একইসঙ্গে এজন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এক-একটি এলাকা ব্লক করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করাতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি সব চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশি চ্যানেল দেখা যাবে।

সম্প্রচারমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা ক্যাবল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং যার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, যার কারণে এ শিল্পের বিকাশ, তার নেতৃত্বে এ অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।’

ড. হাছান মাহমুদ এসময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ক্যাবল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। আইন অনুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।

কোয়াব নেতাদের উত্থাপিত দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল অপারেটররা ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং অন্য সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

কোয়াব সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহ-সভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক, সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ। এছাড়া একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএ/ ২৮ মার্চ ২০২৩

Back to top button