বগুড়া

গণহত্যা দিবসে ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়নি সান্তাহার

বগুড়া, ২৬ মার্চ – একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। ভয়াল সেই গণহত্যা দিবসের রাতে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এক মিনিট সারা দেশ অন্ধকারে (ব্ল্যাক আউট) ছিল। তবে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ও সান্তাহার পৌর শহরে পালন করা হয়নি ‘ব্ল্যাকআউট’।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত অন্ধকারে থাকার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে আলো নিভিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সান্তাহার নেসকো লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই ২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যার স্মরণে এক মিনিট দেশ অন্ধকারে থাকার কথা থাকলেও সান্তাহারে তা পালন না হওয়াই আমারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সান্তাহার নেসকো লিমিটেড কেন সরকারি নির্দেশ মানলেন না তা খতিয়ে দেখা উচিত।

এ বিষয়ে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সান্তাহার নেসকো লিমিটেডের নিবার্হী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, আমাদের কাছে ওপর থেকে কঠোরভাবে নির্দেশনা ছিল বিদ্যুৎ বন্ধ না করার। যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিজেদের মত করে আলো নিভিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করবে। আমরা বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিলে যান্ত্রিক সমস্যা হতো।

আদমদীঘি উপজেলা নিবার্হী অফিসার টুকটুক তালুকদার বলেন, ২৫ মার্চ ও স্বাধীনতা দিবস নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় সারা দেশের ন্যায় আদমদীঘি উপজেলাতেও ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করার জন্য বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সান্তাহার নেসকো লিমিটেডের নিবার্হী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ না করাই আমি নিজের বাসভবনের আলো নিজে বন্ধ করি। পরবর্তীতে নিবার্হী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান বিদ্যুৎ বন্ধ করার নির্দেশ তাদের ছিল না।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
এম ইউ/২৬ মার্চ ২০২৩

Back to top button