দক্ষিণ এশিয়া

কংগ্রেসের বিক্ষোভের অনুমতি নেই পুলিশের, রাজঘাটে জারি ১৪৪ ধারা

নয়াদিল্লি, ২৬ মার্চ – রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজের প্রতিবাদে রোববার দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কংগ্রেস। দেশ জুড়ে ‘সংকল্প পদযাত্রা’-র ডাক দেয়া হয়েছে। জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে রোববার সকালেই পৌঁছে গিয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে। পৌঁছেছেন কংগ্রেসের অন্য নেতা, কর্মীরাও।

রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেশের নানা প্রান্তে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। দিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েতের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কা, খড়গেরা সেখানে জড়ো হয়েছেন।

রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েত এবং অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, কংগ্রেসের আন্দোলনের ফলে রাজধানীতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। ফলে যানজটের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেই কারণেই বিক্ষোভের অনুমতি দেয়া হয়নি। রাজঘাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আইন অনুযায়ী, যে কোনও সংসদ সদস্য বা বিধায়ক কোনও নির্দিষ্ট মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং তাঁর দুই বা ততোধিক বছরের সাজা হলে তৎক্ষণিক সংসদ সদস্য বা বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার (২৩মার্চ) রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শোনায় গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে পদ হারিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

কংগ্রেস এর নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে দাবি করেছে। লোকসভায় রাহুলের মুখ বন্ধ করতেই তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি। শনিবার (২৫ মার্চ) সাংবাদিক সম্মেলনেও একই কথা জানান রাহুল নিজে। এর পরেই বিরোধিতার পারদ চড়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ মার্চ ২০২৩

Back to top button