ঢাকা

প্রথম রোজাতেই জমজমাট চকবাজার

ঢাকা, ২৪ মার্চ – বরাবরের মতো এবারও পুরান ঢাকার চক-সার্কুলার সড়কে বাহারি আয়োজনের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ধীরে ধীরে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চকবাজারের ইফতার মার্কেটে দোকান খোলা শুরু করে। সেই সাথে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোজনবিলাসীরা ভিড় করতে থাকেন।

সরেজমিন চকবাজার ঘুরে দেখা যায়, সড়কে সারি সারি শতাধিক ইফতারসামাগ্রীর দোকান বসানো হয়েছে।

দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, নারগিস চাপ, টিকা কাবাব, শাহী জিলাপি ও বোম্বে জিলাপি, ডিম চপ, রোস্ট, দই, বড়া, হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, পরোটা, ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ঝাল বোট, ফালুদা, তরমুজ, পেঁপে, বাঙ্গি, কলা, আনারসসহ নানা ধরনের খাবার।

কামরাঙ্গীরচর থেকে আসা মিঠু নামের এক ক্রেতা জানান, চকবাজারের বিখ্যাত ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ এটার নাম অনেক শুনেছি এবার এসেছি কিনতে। এছাড়াও এখানে নানান পদের ইফতার রয়েছে যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যা ভালো লাগবে তা দ্রুত কিনে বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে ইফতার করবো।

চকবাজারে ইফতার কিনতে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন সিদ্দিক। তিনি জানান, বরাবর আমার ও পরিবারের সকলের পছন্দ চকের বাহারি ইফতার। তাই রোজার প্রথম দিন ছুটির দিন হওয়ায় চকবাজারে ইফতার কিনতে এসেছি। ইতিমিধ্যে ৩টি খাসির লেগ রোস্ট, কোয়েল পাখির রোস্ট কিনেছি। এছাড়াও শাহী জিলাপি সহ আরও কয়েকটি কেনার বাকি রয়েছে।

৩০ বছর ধরে চকবাজারে রোজার মাসের অস্থায়ী ইফতার বাজারে গরু-খাসির সুতি কাবাব বিক্রি করছেন সিরাজ বাবুর্চি। তিনি জানান, বেচে কেনা আগের মত থাকলেও দাম বেড়েছে এবার। ১২০০ টাকা কেজি গরুর ও ১৬০০ টাকায় খাসির সুতি কাবাব বিক্রি করছেন তিনি।

চকবাজারের শত শত মানুষের উপস্থিতি বলে দিচ্ছে পুরান ঢাকার মানুষ কতটা ভোজন রসিক। পুরো রমজান মাস এই চিত্র অব্যাহত থাকবে এমনটাই আশা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতারা বলছেন ঐতিহাসিক দিক দিয়ে নয় চকবাজারের এই ইফতার সামগ্রীর গুণগত মান ঠিক রাখা প্রয়োজন।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ২৪ মার্চ ২০২৩

Back to top button