জাতীয়

ইভিএম নিয়ে ‘অন্ধকারে’ ইসি

ঢাকা, ২০ মার্চ – নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, ইভিএম নিয়ে কী হবে, না হবে, জানি না। ইভিএম নিয়ে আমরা অন্ধকারে। সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেওয়ার জন্য বলেছি। এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। সেটা পাওয়া যাবে কি না, নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটা চিঠি দিতে বলেছি। সেটা রেডি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) যেতে পারে।

কেন এ চিঠি দিচ্ছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, টাকার নিশ্চয়তা আমরা এখনো পাইনি। কাজেই টাকার নিশ্চয়তা না হলে আমরা এ কাজ করবো, শেষ পর্যন্ত দিতে পারবো না টাকা সেটা তো ঠিক হবে না। টাকার নিশ্চয়তা যদি পাওয়া যায়, আমরা অর্থবছর ভিত্তিক এ অর্থবছরে অর্ধেক দেওয়ার জন্য, পরবর্তী অর্থবছরে বাকি অর্ধেক দেওয়ার জন্য এ রকম একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে কী করবো। ব্যালটে কতটা করবো বা ইভিএমে আদৌ করবো কি-না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।

কবে নাগাদ এ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন-এমন প্রশ্নে জবাবে এ কমিশনার বলেন, আমরা তো আর মানে একেবারে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকবে পারবো না। আমরা যদি টাকা হাতে পাই, তাতে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে মেরামত করার জন্য। কাজেই আমরা তো মনে করি এখনই হাই টাইম।

তিনি আরও বলেন, টাকা পাওয়া না পাওয়াটা (চিঠির জবাব) যদি আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাই আগামী সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে যদি পেয়ে যাই তাহলে কিন্তু হাতে ছয় মাস সময় পাবো। অন্যথায় কিন্তু সময় পাবো না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ এক লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি তাহলে ৭০, ৮০ যে সংখ্যাটা (আসন) হয়, আমরা যেতে পারবো। না হলে তো পারবো না। বা করবো কি না তা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি যে, হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার।

আনিছুর রহমান আরও বলেন, এখনো সরকার তো পুরোপুরি না করেনি। আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম যে টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। আর যদি না দেয় সেজন্যই সর্বশেষ একটা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকার কোনো বরাদ্দ না দিলে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আাবার কমিশনে আসবে এটা কমিশন তখন যে সিদ্ধান্ত নেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। সেটা এখন বলার সুযোগ নেই।

কতগুলো আসনে ইভিএমে করা যাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে সেটাও আমরা এখন পর্যন্ত পর্যালোচনা করে দেখিনি। যেগুলো আমাদের হাতে আছে সেগুলো সহই তো এক লাখ ১০ হাজার মেরামত যোগ্য, আরও ৪০ হাজার মেরামত করলেও ব্যবহারযোগ্য হবে না। কাজেই আমরা এক লাখ ১০ হাজারকেই মেরামত করবো। আর যদি আংশিক পাওয়া যায় বা কী হবে সেটা ওপর নির্ভর করবে তখন।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২০ মার্চ ২০২৩

Back to top button