আইন-আদালত

মেয়র তাপসকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার: প্রতিবেদন ২ মে

ঢাকা, ১৯ মার্চ – ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। এজন্য তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।

আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ বলা হয়েছে, ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে কে বা কারা ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নামে অতীব আপত্তিকর, মানহানিকর, মিথ্যা বক্তব্য সংবলিত ভিডিও ও কনটেন্ট প্রচার করে আসছে।

মো. রাকিবুর রহমান ফাহিম নামে একটি আইডি থেকে বাংলাদেশ টাইমস নামক একটি পেজে প্রকাশিত ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই সংগ্রামের ঘটনা চলছে। আমরা মনে করি শেখ ফজলে নূর তাপস, উনার ইন্ধনে পুলিশ আমাদের ওপর এভাবে চড়াও হওয়ার সুযোগ পেয়েছে…।’

তাজউদ্দিন আহমেদ রাসেল নামে একটি আইডি থেকে আইনিউজ.বিডি পেজের ভিডিও শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘লন্ডনে গিয়ে মজা করছে তাপস সাহেব। আজ মেয়র তাপস সাহেবের নির্দেশেই রাস্তায় ছাত্র, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ শতশত মানুষের রক্ত ঝরছে…।’ ইলিয়াস হোসাইন মিডিয়া নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও সম্প্রচার করে বলা হয়, ‘ব্যবসায়ীদের মিষ্টি খায় তাপস…।’

এর আগে গত বছরের ২৮ এপ্রিল অজ্ঞাত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন মেয়র তাপসের ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম। মামলায় দুজনের নাম ও তিনটি পেজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষে দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের একজন কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান ও অন্যজন দোকান কর্মচারী।

সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২শ জনকে আসামি করা হয়।

এছাড়া সংঘর্ষে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন ও দোকান কর্মচারী মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা করেন। এ চার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৪শ জনকে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১৯ মার্চ ২০২৩

Back to top button