‘বাসটা যে কতবার উল্টাইছে বলতে পারি না’
মাদারীপুর, ১৯ মার্চ – আমি ভোর ৪টার পরে বাসে উঠি। সঙ্গে আমার স্ত্রী। স্ত্রীর অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন ঢাকা। এরপর চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিচ্ছে। লোকজন চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেলো। আমার আর কিছু মনে নাই। বাসটা যে কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়। এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন মহারাজ খাঁ (৩০)।
খুলনা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন মহারাজ। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী হালিমা আক্তার। খুলনা থেকে ভোর ৪টার পরে ছেড়ে আসে বাসটি।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।
মহারাজের সামনের সিটে ছিলেন আনোয়ারা। ছেলে সাজ্জাদকে নিয়ে আনোয়ারা বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে আসছিলেন।তিনি যাচ্ছিলেন চিকিৎসার জন্য।
ভোর ৬টার দিকে মোল্লারহাট থেকে বাসে ওঠেন তিনি। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কীভাবে কী হলো বলতে পারছি না। মুহূর্তেই বাস খাদে পড়ে যায়।
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১৯ মার্চ ২০২৩