জানা-অজানা

বিশ্বে কমছে ডলারের দাম

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দরপতন ঘটেছে। বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রকরা। এতে মার্কিন মুদ্রার দাম কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ধুঁকতে থাকা ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে অন্যান্য ব্যাংক। ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সংকটের আশঙ্কা হ্রাস পেয়েছে। এতে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ডলারের দর বেড়েছে।

অসি মুদ্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রতিটির মূল্য স্থির হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৭০৮ ইউএস ডলারে। কিউই কারেন্সির মূল্যমান ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। একটির দাম নিষ্পত্তি হয়েছে শূন্য দশমিক ৬২৩৯ ইউএস ডলারে।

আঞ্চলিক ক্ষুদ্র আকারের ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকে ৩০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে অন্যান্য ব্যাংক। এর আগে ক্রেডিট সুইস ব্যাংকে ৫৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেয় সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে আশার সঞ্চার হয়েছে।

গত সপ্তাহে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় মাঝারি আকারের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক। তাতে বৈশ্বিক আর্থিক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। পরে ক্রেডিট সুইস ও ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের নাজুক অবস্থা তা আরও ভয়ানক করে তোলে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে দেশটির মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে। ডলার সূচক পড়েছে শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

কার্যত মার্কিন ব্যাংকিং সেক্টর অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সেই তুলনায় ইউরোপের ভালো আছে। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর বিনিময় হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রতিটি বিকিয়েছে ১ দশমিক ০৬৪৭ ডলারে।

একই দিনে ব্রিটেনের মুদ্রার স্টার্লিং ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। একটি বিক্রি হয়েছে ১ দশমিক ২১৫৯ ডলারে। পাশাপাশি সুইস ফ্রাঙ্কের মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।

জাপানের মুদ্রা ইয়েনের দর আরও চড়েছে। মুদ্রাটির মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। প্রতি ইয়েনের দাম স্থির হয়েছে ১৩৩ দশমিক ০১ ডলারে।

আইএ/ ১৭ মার্চ ২০২৩

Back to top button