জাতীয়

৬৪ জেলায় মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা সেই আরাভ খানের!

ঢাকা, ১৬ মার্চ – পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় দাবি করে দুবাইয়ের জুয়েলারি ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকলে ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস পেলে দেশে ফিরতে রাজি আছি। আদালতেই বলে দেবেন কী বিচার হবে আমার। দোষী হলে সাজা মাথা পেতে নেবো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন। লাইভে তিনি দাবি করেন, কোনো পুলিশের সহয়তায় তিনি দেশত্যাগ করেননি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের আসামিকে কখনো কি কোনো পুলিশ সদস্য বিদেশে যেতে সহায়তা করতে পারেন? আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক থাকবে।

তিনি বলেন, আমি জীবনে কাউকে একটি চড় মারিনি। আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে সেটি মিথ্যা নয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে অফিসে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে সেই অফিসের মালিক আমি ছিলাম বলেই আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আমি এটা মোকাবিলা করতে রাজি আছি, এমন নয় আমি লুকিয়ে যাবো, পালিয়ে যাবো। কিন্তু এটা সত্যি সবাই বাঁচার আশা করে। আমাকে দুদিন আগেও কেউ চিনতো না।

গণমাধ্যমের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেন, বলা হয়েছে বুর্জ খলিফায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যদি ফ্ল্যাট থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই বাংলাদেশিদের জন্য গর্বের। এজন্য যে তাদের একজন ভাইয়ের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বুর্জ খলিফায়।

আরাভ খান আরও বলেন, মানুষের বিপদ তো সারাজীবন থাকে না, অবশ্যই একদিন না একদিন কেটে যাবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই আমাকে ওপরে উঠতে দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ডিসকাউন্টে গ্রাহকদের কাছে স্বর্ণ পৌঁছে দেবো এমন ঘোষণা দিয়েছিলাম আর সেই ঘোষণাই আমার কাছে কাল হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ আমার বিপরীতে রয়েছে।

আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমি অপরাধী কি না সেটা যাচাই করবে আদালত। মামলা চলমান রয়েছে, রায়ের জন্য অপেক্ষা করুন। আমি যদি অপরাধী হই, বিচারে যদি দোষী হই সেই সাজা মাথা পেতে নেবো।

বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৬৪টি মসজিদ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতিমখানা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বাবা দিনমজুর ছিলেন। আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ। ঢাকায় এসে বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। ছোট থেকে বড় হয়েছি, হুট করে দুবাই আসিনি। না জেনে কেউ কোনো কথা বলবেন না।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দুবাইয়ে খুনির স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যাওয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

তিনি বলেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি। একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছেন। মিডিয়ায় ও অনেকের বলার পরও সাকিবসহ অন্য তারকারা খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গেছেন। তার সোনার দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।

আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো- যোগ করেন ডিবিপ্রধান।

তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতগুলো মামলার অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২টা ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলা রয়েছে, চার্জশিট রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৬ মার্চ ২০২৩

Back to top button