ড্রোনের ঘটনার পর মার্কিন-রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের ফোনালাপ
ওয়াশিংটন, ১৬ মার্চ – কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন ধ্বংস নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। পুরো ঘটনার জন্য ওয়াশিংটন প্রথম থেকেই মস্কোকে দায়ী করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার মস্কোর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে নির্দিষ্ট করে কি কথা হয়েছে তা সাংবাদিকদের জানাননি তিনি। বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক বেশ বিরল। তবে কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দামি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ধ্বংসের পর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এরইপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই তৃতীয় বারের মতো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম কথা হয়।
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে জানান, ক্রিমিয়ার উপকূলে মার্কিন ড্রোনের উপস্থিতি ‘উসকানিমূলক’ এবং এতে ‘কৃষ্ণ সাগরের অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়তে পারে। রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এক সময় ইউক্রেনের অংশ হলেও ২০১৪ থেকে ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে আসছে রাশিয়া।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এরকম কিছু ঘটানোর (ড্রোন ভূপাতিত করা) ব্যাপারে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই, তবে ভবিষ্যতে এরকম কিছু হলে আমরা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবো। ২ দেশের উচিৎ সর্বোচ্চ পরিমাণ দায়িত্বজ্ঞান বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং কোনো সংকট দেখা দিলে সামরিক বাহিনীর মাঝে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা। লয়েড অস্টিন কলের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন।
তবে পরবর্তীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়ে জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেসব জায়গায় আকাশযান ওড়ানো সম্ভব, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি রুশ বিমানবাহিনীকে নিরাপদে ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার দাবি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রধান ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফস এর সভাপতি জেনারেল মার্ক মাইলি ও অস্টিন পেন্টাগনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। মার্ক মাইলিও আলাদা করে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেন।
মার্ক মাইলি সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি রুশরা সাধারণত যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, তার চেয়ে বেশি আগ্রাসী ব্যবহারের প্রদর্শনী করছে’। তবে তিনি এখনো নিশ্চিত নন, রুশ যুদ্ধবিমান মার্কিন ড্রোনকে সরাসরি আঘাত করতে চেয়েছিল কি না।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, রাশিয়ার এ ধরনের আচরণ খুব সম্ভবত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৬ মার্চ ২০২৩