আইন-আদালত

উত্তপ্ত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, আ.লীগ ও বিএনপিপন্থীদের ধস্তাধস্তি

ঢাকা, ১৫ মার্চ – সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ বুধবার (১৫ মার্চ) শুরু হয়নি। এদিন আওয়ামীপন্থীদের সঙ্গে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হইচই, হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের (ভোটকেন্দ্র) ভেতরে আজ সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আজ সকাল ৮টার আগে থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য জড়ো হতে থাকেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা (সাদা প্যানেল) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যান। কয়েকজন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু বাধা দেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা। এরপর থেকে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন ঠিক না হলে তারা ভোট হতে দেবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, ভোট ঘিরে বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকসহ আইনজীবীদের ওপর পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত হয়েছেন।

আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন-জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফজলুল হক মৃধা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার জান্নাতুল ফেরদৌস তানবী, এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এস এম নূর মোহাম্মদ, বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপারসন ইব্রাহিম হোসেন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন হুমায়ুন কবির, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন সোলাইমান স্বপন ও ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপারসন মেহেদী হাসান মিমসহ আরও কয়েকজন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ সেশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। আজ ১৫ ও আগামীকাল ১৬ মার্চ দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহসভাপতি পদে দুটি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহসম্পাদক পদে দুটি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যপদে সাতটি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন নিয়ে শুরুতেই বিভেদ দেখা দেয়। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন।

সূত্র: রাইজিংবিডি
এম ইউ/১৫ মার্চ ২০২৩

Back to top button