পশ্চিমবঙ্গ

বিনা পয়সায় কোর্টে ওকালতি করতে চান মমতা, নিজে মুখেই জানালেন ইচ্ছের কথা

কলকাতা, ১৫ মার্চ – আদালতে পরিচিত আইনজীবীদের দেখেই অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ। কালো শামলা গায়ে চাপিয়ে আদালতের করিডর দেখে আইনজীবীদের হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য়, কিংবা জোরালো সওয়ালে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেও দেখা যায় তাদের। কিন্তু সেই জায়গায় যদি কোনও একদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দেখেন তবে কেমন লাগবে? যিনি জনসভায় বিরোধীদের তার কথায় ফালাফালা করেন সেই মমতা যদি এবার কোর্টরুমে আইনজীবী হিসাবে যান নিঃসন্দেহে তা হবে অনাবদ্ধ।

এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তার ইচ্ছার কথা মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) খোলাখুলিই জানিয়ে দিয়েছেন। আলিপুর জাজেস কোর্টে দাঁড়িয়ে এদিন সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করলেন মমতা। তবে এক্ষেত্রে অবশ্য় তিনি কোনও টাকা পয়সা নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি কখনও কখনও ভাবি নিজেই গিয়ে কোর্টে প্র্যাক্টিস করব। সময় পেয়ে উঠছি না। কিছু কিছু মামলা লিড করব। কারণ নিজে নিজের অন্তরের কথা বলতে পারব। একটা ব্রিফ করতে বলা, আর একটা নিজে ব্রিফিং দেয়া, নিজের অন্তর থেকে বলা দুটোর মধ্যে অনেক সামঞ্জস্য ব্যহত হয়। তার ভাষ্য, মাঝেমধ্য়ে সুযোগ পেলে আমাকেও সুযোগ দেবেন। কথা দিচ্ছি আমি একটা পয়সাও নেব না। আমার পয়সার দরকার নেই। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

এদিন আলিপুর জাজেস কোর্টে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি নিয়োগ দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেন। তবে এদিন তিনি তাৎপর্যপূর্ণভাবে যাদের চাকরি যাচ্ছে তাদের জন্য আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এমনকী চাকরি যাওয়ার জেরে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়েও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে বিরোধীদের পালটা দাবি চাকরি সংক্রান্ত বঞ্চনার জেরেও কয়েকজন আত্মহত্যা করেছেন। সেটাও মাথায় রাখা দরকার।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আইনজীবী হিসাবে ফের কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ। তবে অনেকেরই দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এদিন চাকরি চোরেদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু যারা এতদিন ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, তাদের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

এক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, এদিন যে কথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে তা হতাশার। আসলে তিনি কী চাইছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আসলে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সবক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়গুলি দেখছেন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৫ মার্চ ২০২৩

Back to top button