ইউরোপ

ফ্রান্সে ৭৬টি মসজিদ বন্ধ করার হুমকি ম্যাক্রোঁ সরকারের

প্যারিস, ০৪ ডিসেম্বর- ফ্রান্সের সরকার তার ভাষায় ধর্মীয় ‘চরমপন্থার’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক ও নজির’ পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, এর অংশ হিসেবে তারা ৭৬টি মসজিদকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদে’ জড়িত বলে সন্দেহ করেছেন।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে এসব মসজিদে পরিদর্শন করা হবে। যদি আমাদের সন্দেহ সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা এগুলো বন্ধ করার আবেদন জানাবো। এছাড়া ‘চরমপন্থী’ সন্দেহে ৬৬ জন অবৈধ অভিবাসীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ডারমানিন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহে দেশটিতে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ হামলার পর কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় ‘ভেতরের শত্রুদের’ বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ম্যাক্রোঁর ভাষায় ‘ইসলামিস্ট সেপারাটিম’ মোকাবিলায় গত অক্টোবরে তিনি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। ওই সময় তিনি মন্তব্য করেন যে, বিশ্বজুড়ে সংকটে রয়েছে ইসলাম। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর মুসলিম বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এর পর ২০ অক্টোবর প্যারিসের বাইরে একটি মসজিদ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ফরাসি সরকার। মসজিদটি ঘৃণা উসকে দিচ্ছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে মহানবী (সা.) এর কার্টুন দেখিয়ে হত্যার শিকার শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির হামলার আগে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিল ওই মসজিদটি।

এছাড়া দুটি সংস্থাও বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্সের সরকার। একটি হচ্ছে মুসলিম চ্যারিটি বারাকাসিটি এবং আরেকটি হচ্ছে ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা দ্য কালেক্টিভ অ্যাগেইস্ট ইসলামোফোবিয়া ইন ফ্রান্স (সিসিআইএফ)। তারা ‘চরমপন্থীদের’ সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে অভিযোগ ফরাসি সরকারের।

উল্লেখ্য, ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস ফ্রান্সে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে সিরিজ হামলার পর মুসলিমদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

সূত্রঃ আল জাজিরা
আডি/ ০৪ ডিসেম্বর

Back to top button