বছরে দেশের এক বিলিয়ন ডলার বাঁচাতে পারে সৌরবিদ্যুৎ
ঢাকা, ১৪ মার্চ – সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারে বছরে বাংলাদেশ এক বিলিয়ন ডলারের বেশি সাশ্রয় করতে পারবে। ন্যাশনাল ব্যুরো অব এশিয়ান রিসার্চ (এনবিআর) নামক যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সংস্থার গবেষণায় এমনটিই উঠে এসেছে ৷ এতে বলা হয়, দ্রুত ২০০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করতে হবে। ডিজেলচালিত পুরো সেচ ব্যবস্থাকে সৌর-বিদ্যুৎ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে। এতে বছরে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজেল ও এলওনজি আমদানি করতে হবে না। এ দুটো পদক্ষেপ নিলে, বছরে ৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করা সম্ভব বলে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গবেষণাপত্রের লেখক শফিকুল আলমের মতে, ‘বর্তমান জ্বালানি সংকট বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি এলএনজির মতো ব্যয়বহুল এবং অস্থির বাজারদরের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা এবং আমদানি হ্রাস করার সুযোগ।’
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রুফটপ সোলার সিস্টেম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে খরচ দাঁড়ায় প্রতি কিলোওয়াট ৫ দশমিক ২৫ টাকা। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে শিল্প কারখানায় দিনের বেলায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ গ্রিড বিদ্যুতের খরচের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমাতে পারে। একইভাবে ইউটিলিটি-স্কেল সোলার থেকে বিদ্যুত উৎপাদন করা যায় প্রতি কিলোওয়াট ৭ দশমিক ৬ টাকা, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে পিডিবির গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ কম।
গবেষণাটি থেকে আরও জানা যায় যে, বাংলাদেশ কৃষি জমির ওপর কোনো চাপ না ফেলে ১২ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তির সক্ষমতা তৈরি করতে পারে- যদি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ছাদ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ব্যবহার করা হয় এবং ডিজেল চালিত সেচ ব্যবস্থাকে সৌর-বিদ্যুৎ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সবুজ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় বর্তমান সুদের হার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য অনুকূল। তবে, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুতের বিপুল সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে হলে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের প্রয়োজন হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুতের ব্যবহার বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহে অবদান রাখবে বলে ওই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১৪ মার্চ ২০২৩