প্রথমবারের মতো দেশে নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ
ঢাকা, ১৩ মার্চ – পুরুষ দলের ব্যর্থতার বিপরীতে দেশের ফুটবলের পতাকা ওড়াচ্ছে নারী দল। তার পুরস্কারও ধরা দিল দ্রুত। স্বপ্নের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবলের গ্ল্যামার গায়ে জড়াতে যাচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনে হলো তার লোগো উন্মোচন। আর আগামী মে মাসে শুরু হবে বাংলাদেশ উইমেনস সুপার লিগ।
এ উপলক্ষে মিলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠান। অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নারীরা, ফুটবলের অগ্রযাত্রায় নারী উন্নয়নের প্রেরণার কথা বলেন। ফ্রিস্টাইলের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পোল্যান্ডের আগুস্কার প্রদর্শন মুগ্ধ করে অতিথিদের।
এমন জমকালো আয়োজন অথচ এখনও টুর্নামেন্টের রূপরেখাই চূড়ান্ত হয়নি। নারীদের পেশাদার লিগই যেখানে শক্ত হয়নি, সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল চ্যালেঞ্জিং মেনেও আশাবাদী বাফুফে সভাপতি।
তার দাবি, এটা আমাদের জন্য একেবারে নতুন ধারণা। এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কারা কারা আসবে, খেলোয়াড়দের মূল্য কত হবে, এটা বড় ইস্যু। কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের মাত্র ৫ থেকে ৬টি ক্লাব। কীভাবে এটার আয়োজন করব, আমার সে ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে মেয়েদের ছাড়পত্র দেবে ক্লাবগুলো, সেটাও দেখতে হবে। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তারপরও বিষয়টার অনুমতি দিয়েছি। কারণ, এখানে একটা বড় সুবিধা হচ্ছে এই মেয়েরা অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, এই লিগ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আশা করি, মহিলা ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটা বড় ভূমিকা পালন করবে। এখানে বিদেশি ফুটবলার, ইউরোপ ও এশিয়ার ফুটবলার খেলবে। তাই লিগের মানও অনেক ভালো হবে।
দেশি খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দিয়ে এ টুর্নামেন্টে কাঠামো দ্রুতই ঠিক করার কথা বলছে, টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান কে স্পোর্টস।
নারী ফুটবলে এটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করলেও ফুটবলের উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে তা নির্ভর করছে, বাফুফের মুনশিয়ানার ওপর।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১৩ মার্চ ২০২৩