বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন রাবির ৮ শিক্ষার্থী
রাজশাহী, ১৩ মার্চ – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার পর প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থী।
রোববার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। পরে ওই দিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরসহ প্রশাসনের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মৌখিকভাবে তাদের সাত দফা দাবি মানার আশ্বাস দিলে তারা অনশন ভাঙেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১১টা থেকে রাবি উপাচার্য ভবনের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিন ও একাধিক সহকারী প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে রাত দেড়টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হন তাঁরা। পরে তাদের অনশন ভাঙিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনশন শুরু করেন ওই আট শিক্ষার্থী। অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, সোহাইব খান ও ফয়সাল আহমেদ, দর্শন বিভাগের শাহাদাৎ হোসেন ও রাবেয়া মুহিব, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের রিমি আক্তার ও রাবিয়া জান্নাত রাইসা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাত হাওলাদার।
তাদের দাবি, শনিবারের ঘটনার জন্য প্রক্টরের পদত্যাগ ও প্রশাসনের জবাবদিহি, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার প্রশাসনকে নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করতে হবে এবং এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, পাসকার্ড ছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে, ক্যাম্পাসের রিকশা ভাড়া, ডাইনিং ও খাবার হোটেলগুলোয় খাবারের দাম নির্ধারণ ও মান নিশ্চিতকরণ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশন পুনরায় চালু করতে হবে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১৩ মার্চ ২০২৩