জাতীয়

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য হবে

ঢাকা, ১২ মার্চ – দেশের সব রাজনৈতিক দলকে আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সিএনএন অ্যাঙ্কর ও বিজনেস এডিটর এট লার্জ রিচার্ড কোয়েস্টের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ গ্রোথ স্টোরি : হোয়াটস দ্য ফিউচার রোড ম্যাপ’ শীর্ষক অধিবেশনটি ছিল তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট, ২০২৩-এর একটি অংশ। অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান সংক্রান্ত কোয়েস্টের আরেক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৪ বছরে এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করেছে, কারণ এই সময়ে এক হাজারের বেশি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভুয়া ভোটার তালিকা থাকলেও পরবর্তীতে ভোটার আইডিকার্ড চালু করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছভাবে গড়ে তোলার মতো নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ কর্তৃত্বে স্বাধীন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর মতো একের পর এক ধারণা দিচ্ছে। কিছু মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে, বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়বে। কিন্তু, এ ধরনের ফাঁদে পা দেওয়ার কোনো উপায় নেই। চীন একটি বন্ধুপ্রতীম দেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ এখন একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ এবং অনেক দেশ তাদের পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করে। যদিও স্বাধীনতার পর পরিস্থিতি এরকম ছিল না।

ড. মোমেন আরও বলেন, আমরা বেশ ভালো অবস্থায় আছি। সুতরাং চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশও জাপানের কাছ থেকে সহযোগিতা নিচ্ছে এবং এ নিয়ে কোনো কথা নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হলো ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সরকার এই সময়ে জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করছে। সরকার আঞ্চলিক অখণ্ডতা, মানবিক সহায়তা এবং যুদ্ধের অবসান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলিকে সমর্থন করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই যুদ্ধের নিন্দা করি। কারণ আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর সৈন্য প্রেরণকারী দেশ। আমরা টেকসই শান্তি চাই এবং আমরা প্রতিবেশীদের মধ্যে এ ধরনের দর্শনের প্রচার করছি। শান্তির সংস্কৃতি, প্রতিবেশীদের মধ্যে টেকসই শান্তি।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১২ মার্চ ২০২৩

Back to top button