বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হতে সক্ষম
ঢাকা, ১১ মার্চ – ‘বাংলাদেশ বিজসেন সামিট ২০২৩’-এর প্রথম দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যালেন সিএনএনের বিজনেস এডিটর রিচার্ড কোয়েস্টের শো ‘সিএনএন এক্সপেরিয়েন্স’। প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে রিচার্ড কোয়েস্ট বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে প্রবেশ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির সক্ষমতা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করি।
তবে দীর্ঘ এই যাত্রায় সুশাসন ও নারী-পুরুষের সমতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ দেশের নাগরিকদের আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন রিচার্ড কোয়েস্ট।
শনিবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই বিজনেস সামিটের প্রথম দিনের ‘সিএনএন এক্সপেরিয়েন্স’ প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও ডব্লিউটিও’র উপ-মহাপরিচালক জিয়াংছেন জাং।
প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে রিচার্ড কোয়েস্টের এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের জায়গা এখন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য এখন তৈরি পোশাক শিল্প। আর ফ্রিল্যান্সিংএ বিশ্বে দ্বিতীয়। দেশের অবকাঠামো যতেষ্ট উন্নত। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়ে। আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিকের জার্নিতে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানায়।
অন্য প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে, সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি রপ্তানির ঝুড়িতে আরও আছে ওষুধ, চামড়া সিরামিকের মতো সম্ভাবনাময় পণ্য। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে অবদান রাখতে স্কুল পর্যায়ে কোডিং শিক্ষার ব্যবস্থাও করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নাগরিক ও উদ্যোক্তাদের কর্ম প্রচেষ্টা দেখে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) উপ-মহাপরিচালক জিয়াংছেন জাং বলেন, বিস্ময়কর বিষয় হলো- বাংলাদেশের মানুষের চিন্তাধারা খুবই ইতিবাচক ও যতেষ্ট কর্মঠ। এ দেশের উদ্যোক্তারা পোশাক শিল্পকে রপ্তানি বাণিজ্যের শিখরে নিয়ে গেছে। ওষুধ শিল্পেও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগে ভালো সাড়া পাবে।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১১ মার্চ ২০২৩