অপরাধ

কানাডায় পলাতক বিএনপি নেতা ডা. ফিরোজের রাজসিক জীবন

অটোয়া, ০৪ ডিসেম্বর- সরকারের খাতায় তিনি পলাতক,ফেরারী। ১৩ বছরের কারাদণ্ড মাথায়। কিন্তু কানাডায় তার রাজসিক জীবন। বিশাল বাংলো বাড়ি ভ্যাঙ্কুভারে। শুধু কানাডা নয়, বিশ্বের অন্যতম এই ব্যয় বহুল শহরের পয়েন্ট গ্রে রোডের একটি বিলাশ বহুল ভিলার মালিক তিনি। তবে,সেখানে তিনি থাকেন না। মাঝে মাঝে আসেন। এছাড়া স্ত্রী ইমতিয়াজ বেগমের নামে বেলমোন্ট এভে আছে আারেকটি বিলাস বহুল বাড়ি। টরেন্টোতে মেয়ে জেরীন তাসনিমের নামে একটি এপার্টমেন্ট আছে। ছোট মেয়ে ফাতিমা তাসনিমের নামে এপার্টমেন্ট আছে লন্ডনে। এখানেই ফিরোজ থাকেন। কানাডায় ইমিগ্রান্ট হওয়ার কারণে, লন্ডন-কানাডা যাতায়াত তার জন্য ডাল ভাত। ইনি হলেন বেগম জিয়ার সাবেক এসাইনমেন্ট অফিসার ডা: ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল।

বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের এই কর্মকর্তা আলোচনায় আসেন ২০০১ সালে। বেগম জিয়া দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলে ডা: ফিরোজ প্রধানমন্ত্রীর এসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। এরপর শুরু হয় তার দাপট। এসময় হাওয়া ভবনের সাথে মিলে কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য এবং টেন্ডার বাণিজ্যে মনোযোগী হন ফিরোজ। মাত্র কয়েকদিনেই শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যান।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেন সরকার এলে পালিয়ে যান ফিরোজ। তার অনুপস্থিতিতেই তিনটি মামলায় দন্ডিত হন বেগম জিয়ার ঘনিষ্ট এই সরকারী কর্মকর্তা। রমনা থানা মামলা নং ৪ (তারিখ ০৫-৮-০৭) তিনি তিন বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত হন। তেজগাঁও থানার মামলা নং ২৩ (তারিখ ১৩-১১-০৭) তিনি ৫ বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত হন। এছাড়াও রমনা থানা আরো একটি মামলায় তার ১০ বছরের কারাদন্ড হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায় ডা: ফিরোজ সর্বশেষ জেড-০০৬৯৩৪৯ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। এই পাসপোর্টের মেয়াদ ২০০৯ সালে শেষ হয়ে যায়। এর পর সেটি আর নবায়ন করা হয়নি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাড়ী ছাড়াও তিন দেশে তার শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। লন্ডনে রয়েছে তার দুটি রেস্টুরেন্ট। ম্যানচেস্টারের একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। ডা: ফিরোজ এখনও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তারেক জিয়ার অন্যতম সহযোগী হিসেবে এখনও বিএনপির মধ্যে তার প্রভাব রয়েছে।

সূত্রঃ বাংলা ইনসাইডার
আডি/ ০৪ ডিসেম্বর

Back to top button