‘হংকং ফ্লু’তে প্রথম মৃত্যু দেখলো ভারত
নয়াদিল্লি, ১০ মার্চ – ভারতে এইচথ্রিএন২ ভাইরাসে (হংকং ফ্লু নামে পরিচিত) আক্রান্ত হয়ে দুজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার এবং দ্বিতীয়জন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যের কর্ণাটকের বাসিন্দা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই ভাইরাসটির সংক্রমণে এই প্রথম মৃত্যু দেখল ভারত। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘হংকং ফ্লুতে’আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০০ জন।
ভারতের সর্বোচ্চ মেডিকেল গবেষণা সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) তথ্য অনুযায়ী, হংকং ফ্লু’র জন্য দায়ী এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১- দুটি ভাইরাস। ভারতে শনাক্ত হওয়া রোগীদের নমুনায় দুই ধরনের ভাইরাসেরই উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ৯০ জনের নমুনায় পাওয়া গেছে এইচ৩এন২ ভাইরাস এবং ৮ জনের নমুনায় মিলেছে এইচ১এন১ ভাইরাস।
যে দুজনের মৃত্যুর সংবাদ শুক্রবার নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, তাদের মধ্যে কর্ণাটকে মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে। ওই ব্যক্তির নাম হাসান। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি এই রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ছয় দিন পর ১ মার্চ মারা যান। ৮২ বছর বয়স্ক হাসান হংকং ফ্লু’র উপসর্গ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন।
চলতি বছর শীতের শেষ দিকে ভারতে নতুন এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়। এই রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিডের বেশ সাদৃশ্য আছে। উপসর্গগুলো হলো—কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে কফ জমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, গলাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং ডায়রিয়া।
এসব উপসর্গই প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তারপর রোগী হয় সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন, নয়তো গুরুতর অসুস্থতার দিকে ধাবিত হতে থাকেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১০ মার্চ ২০২৩