এবার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ দিতে চায় আদানি
ঢাকা, ১০ মার্চ – কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী ভারতের আদানি গ্রুপ। নির্ধারিত (ডেডিকেটেড) সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এ বিদ্যুৎ সরবরাহে সম্প্রতি শিল্প গ্রুপটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) প্রস্তাব দিয়েছে।
এ বিদ্যুতের কারিগরি ও আর্থিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আগামী ১৮ মার্চ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পেতে আগ্রহী। বর্তমানে এ উৎস থেকে অফ ও অন-গ্রিডে ৯৫৯ মেগাওয়ট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে অফ-গ্রিডে ৩৬০ ও অন-গ্রিডে ৫৯৯ মেগাওয়াট রয়েছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা সুমন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়েছে আদানির বিদ্যুৎ। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ মেগাওয়াট আসছে, পর্যায়ক্রমে এটি বাড়বে।
আদানির বিদ্যুতের দাম ও কয়লার মূল্য নিয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিতর্ক চলছে। এ বিষয়ে পিডিবি ও আদানির মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদানি পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। ১৩ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, আদানির দুই ইউনিটের কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। অন্য ইউনিট এ বছরেই আসার কথা। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খন্ডের কোড্ডা জেলায়। সেখান থেকে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুরে। এরপর তা যাবে বগুড়ায়।
ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ভারত অংশে ১০৮ ও বাংলাদেশে রয়েছে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন।
সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১০ মার্চ ২০২৩