‘এবার পেট থেকে কথা বেরোবে, তৃণমূলের অনেক নেতার কপালে দুঃখ আছে’, কেষ্ট প্রসঙ্গে দিলীপ
কলকাতা, ৮ মার্চ – অবশেষে দিল্লিতে কেষ্ট। কার্যসিদ্ধি করে ছেড়েছে ইডি। এবার অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিপদে পড়বেন। এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে চা-চক্রে যোগ দিয়ে কেষ্টকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কেষ্টকে জেরা করতে টিম সাজিয়ে ফেলেছে ইডি।
অনুব্রতকে নিশানা দিলীপের
গতকাল অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। রাতারাতি তাঁকে আদালত পেশ করে ৩ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। গতকাল থেকে বিজেপি নেতারা একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন। তারই মধ্যে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন। এবার অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এবার দুঃখ বাড়বে। অর্থাৎ কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করায় যে অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম উঠে আসবে এই মামলায় তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীও এত গুরুত্ব পান না
গতকাল দিনভর অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়েই পড়ে থেকেছে সব সংবাদ মাধ্যম। প্রায় কোনও সংবাদ মাধ্যমই অনুব্রত মণ্ডলের বাইরে তেমন কোনও খবর দেখাননি। এই নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গতকাল সব সংবাদ মাধ্যম, পুলিশ প্রশাসন যে ভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও এত ব্যস্ত কখনও তাদের দেখা যায়নি। এর থেকেই বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডল কতটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। ইতিমধ্যেই আবার জল্পনা শুরু হয়েছে রাজসাক্ষী হয়ে যেতে পারেন কেষ্ট। তাতে আরও চাপ বাড়বে শাসক দলের।
কেষ্টকে জেরা করতে বিশেষ টিম
গতকাল প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত কেষ্টকে নিয়ে চলেছে টানাপোড়েন। রাতে দিল্লি পৌঁছেই ইডি প্রথমে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় তারপরেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। রাত ১টা বিচারক শুনানি হয়। তাতে তিন দিনের ইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে জেরা করতে ইতিমধ্যেই বিশেষ টিম সাজিয়ে ফেলেছে ইডি। সেই দলে রয়েছে ইডির সব দুঁদে অফিসাররা। ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্রর নেতৃত্বে চার ডিরেক্টরের দল তৈরি হয়েছে। সেই দলে রয়েছেন, আইপিএস সোনিয়া নারাং, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা, এছাড়াও থাকছেন সুনীল কুমার যাদব, যোগেশ শর্মা, ও সোহান কুমার শর্মার মতো দুঁদে অফিসাররা।
কেমন কাটল দিল্লিতে রাত
দিল্লিতে প্রথম রাত মন্দ কাটেনি কেষ্টর। বিচারকের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে তাঁকে ইডির হেফাজতে রাখা হয়েছিল। সেখানে রাতে ভালই ঘুমিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, ঘুম থেকে উঠে চা-বিস্কুট খান তিনি। চিকিৎসকদের ডায়েট মেনেই তাঁকে ব্রেকফাস্টে দেওয়া হয়েছিল রুটি-তরকারি। বাংলা খবরের কাগজ পড়তে চেয়েছিলেন তিনি। মেয়ের খোঁজও তিনি নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এনামুল হকের বসানকে সামনে রেখেই কেষ্টকে জেরা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
আইএ/ ৮ মার্চ ২০২৩