ঢালিউড

যে আক্ষেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন প্রয়াত নায়ক মান্নার স্ত্রী

ঢাকা, ০৬ মার্চ – ১৫ বছর আগে বসন্তের এক সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ঢাকাই সিনেমার খ্যাতিমান অভিনেতা মান্না। তার মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরেন স্ত্রী শেলী মান্না। সেই থেকে সংগ্রাম করে চলেছেন তিনি।

শেলী মান্না বলেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ , এক ভয়াবহ শোকাবহ দিন। পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই আমার চারপাশের অনেক স্বজনের মানবিক চরিত্র চিত্রের বদল ঘটেছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল মানসিক ও আত্মসম্মান পীড়নের এক কঠিনতম সংগ্রাম। সেই সংগ্রাম এখনও চলছে।’

এদিকে ‘মান্না ফাউন্ডেশন’র সদস্য হয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রয়াত নায়কের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলি চলচ্চিত্রের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শেলী মান্না। তিনি লিখেছেন, ‘মান্না চলে যাওয়ার পর শুরু হয় আমার জীবন যুদ্ধের সংগ্রাম। সেই সঙ্গে কাছের মানুষগুলোও চির অচেনা হতে থাকে। মান্নার জীবদ্দশায় সে মানুষের মানবিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে চরম সত্য কথাই বলে গিয়েছেন, যা এখন আমি বুঝতে পারি। আমরা আজ ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে রীতিমতো সোচ্চার। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তরিকতা, ধর্ম ও ঈমানের সঙ্গে কজনই বা পালন করে থাকি? এমন প্রশ্নও রেখেছেন সমাজের মানুষের কাছে।’

শেলী মান্নার ভাষ্য, কাছের মানুষের অসহযোগিতা থাকলেও নায়ক মান্নার প্রতি ভালোবাসায় গড়ে তোলেন মান্না ফাউন্ডেশন। ট্রাষ্টি বোর্ড, কার্যকরী কমিটিসহ প্রায় ৪০ সদস্য বিশিষ্ট মিডিয়া ও সমাজের গণ্যমান্য উপদেষ্টাসহ ২০০৯ সালের এপ্রিলে (পহেলা বৈশাখ) এফডিসিতে মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল ‘মান্না ফাউন্ডেশন’। বাংলাদেশ জুড়ে ২৪৫টি অঙ্গসংগঠন তৈরি হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এর কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও দেশে অস্থিরতার কারণে অনেকটা থমকে যায়। বর্তমানে আবারো শুরু হয়েছে সংগঠনটির কার্যক্রম।

এ প্রসঙ্গে নায়কের স্ত্রী বলেন, আমাদের ‘মান্না ফাউন্ডেশন’ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছিল, তার চেয়ে এখন অনেকধাপ এগিয়ে। আমরা নতুন করে সংগঠনটির সারাদেশের কার্যক্রম শুরু করেছি। সদস্য সংগ্রহ শুরু করেছি। এছাড়াও যারা দেশের বাইরে সংগঠনটির শাখা করতে চান, তাদেরও আমরা সহযোগিতা করছি।

মান্না ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিংবদন্তি অভিনেতা প্রযোজক মান্নার অগণিত ভক্তকুল, সিনেমাপ্রেমী স্বজনের ও আমাদের দাবি এবং ভালোবাসায় গঠিত হয়েছিলো মান্না ফাউন্ডেশন। আমি জানি, আমার মতো অনেক সংগ্রামী নারী একাকী জীবন যুদ্ধে কেউ জয়ী হয়েছেন আবার কেউবা পরাজিত। তাই মান্না ফাউন্ডেশনের আর্তমানবতার সেবায় একটি বিষয় থাকবে, তা হলো স্বজনহারা ও স্বজনবিহীন সংগ্রামী নারীদের নিয়ে কাজ করা ও একে অপরের পাশে থাকা।’

আইএ/ ০৬ মার্চ ২০২৩

Back to top button