সংগীত

ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে এ আর রহমানের ছেলে, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন আমিন…

নয়াদিল্লি, ০৫ মার্চ – সঙ্গীতের জাদুকর তিনি। সুরের মায়াজালে বেঁধে নিয়েছেন কোটি ভক্তকে। তিনি এ আর রহমান। তামিল থেকে শুরু করে হিন্দি গান সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ। পাঞ্জাবি, সুফি, পপ থেকে শুরু করে তার সঙ্গীতায়োজনে মিলেছে বাংলা বাউল সুরের ছোঁয়া।

সম্প্রতি এ আর রহমানের ছেলে এ আর আমিন বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আমিনের গানের একটি শুটিং চলাকালীন মঞ্চে ঝাড়বাতিসহ সব কিছু ভেঙে পড়ে। তবে গুরুতর কোনো আঘাত পাননি বলে জানিয়েছেন একাধিক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন আমিন।

সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা ভক্তদের জানিয়েছেন এ আর আমিন। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঘটনাস্থলের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। যে সেটে শুটিং করছিলেন সেখানে ঝাড়বাতি এবং সাজসজ্জার অন্য জিনিসগুলো ভেঙে পড়েছিল। যদিও আমিন কোনো আঘাত পাননি, তবে তিনি বলেছেন যে ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও তিনি সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারেননি।

ছবিগুলো শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি, আমার বাবা-মা, পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আমার আধ্যাত্মিক শিক্ষকের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমি আজ নিরাপদে এবং বেঁচে আছি। মাত্র তিন রাত আগে, আমি একটি গানের শুটিং করছিলাম। হঠাৎ একটি ক্রেন থেকে পুরো কাঠামো এবং ঝাড়বাতিগুলো মঞ্চে পড়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলের ঠিক মাঝখানে ছিলাম, তখন ভেঙে পড়েছিল এগুলো। একটু এদিক-সেদিক হলে বা কয়েক ইঞ্চি কিংবা কয়েক সেকেন্ড আগে-পরে হলে পুরো অংশটি আমাদের মাথায় পড়ে যেত। আমার দল এবং আমি এখনো সেই ভয়ের মধ্যে আছি, যা কাটিয়ে ওঠা কঠিন।’

এদিকে রহমানপুত্রের এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা শুনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করছেন ভক্তরা। একের পর এক মন্তব্যে সাহস জোগাচ্ছেন তাকে। এমনকি পরিবারের সদস্যরাও বলছেন, সৃষ্টিকর্তা সহায় ছিল বলেই আজ আমিন বেঁচে আছেন।

প্রসঙ্গত, এ আর রহমানের তিনটি সন্তান, খাতিজা রহমান, রহিমা রহমান এবং এ আর আমিন। আমিন ২০১৫ সালে তামিল চলচ্চিত্র ‘ও কাধল কানমানি’ দিয়ে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটিতে তিনি গেয়েছেন ‘মওলা ওয়া সল্লিম’ গানটি। এর পর থেকে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘দিল বেচারা’র ‘নেভার সে গুডবাই’ গানটিসহ বেশ কয়েকটি হিন্দি গান গেয়েছেন।

আইএ/ ০৫ মার্চ ২০২৩

Back to top button