চট্টগ্রাম

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের পর মালিকপক্ষের কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না

চট্টগ্রাম, ০৫ মার্চ – চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুরের কারখানাটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট হওয়া আগুন এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে পাশে থাকা বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতো কিছুর পরও কারখানার মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে মালিকপক্ষের কেউ সহায়তা করেনি। তথ্য দেয়ার জন্য ঘটনাস্থলেও তাদের কেউ আসেননি।

রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখনো উদ্ধার অভিযান চলমান রেখেছি। রাতে অন্ধকার থাকায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হবে না। আমরা এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষের কাউকে পাইনি। তারা কেউ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেননি।

তিনি বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। দুটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। ব্যবস্থাপনার কারণেও দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৫ মার্চ ২০২৩

Back to top button