জাতীয়

অভিযুক্তদের আজীবন বহিষ্কার চান ফুলপরী

ঢাকা, ০৪ মার্চ – ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী বলেছেন, আমার সঙ্গে যারা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। পরবর্তীতে কেউ যেন আর কারো সঙ্গে এমন কিছু না করতে পারে- সেটাই আমার চাওয়া।

অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানার পর এ প্রতিক্রিয়া জানান নির্যাতিত ফুলপরী।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা ও কুষ্টিয়া পুলিশের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে আসেন ফুলপরী। এ সময় তার বাবা আতাউর রহমানও সঙ্গে ছিলেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করছে প্রশাসন। তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- এ মর্মে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে বলে জানা গেছে।

শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নির্যাতসেনর শিকার হন ওই ছাত্রী। ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফুলপরীকে গণরুমে আটকে ৫ ঘণ্টা নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মোয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। রিট হয় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগের পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রত্যেক কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়। একই সঙ্গে হাইকোর্ট ঘটনার সত্যতা ও সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ০৪ মার্চ ২০২৩

Back to top button