শিক্ষা

তিন বিভাগে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা মে মাসে

ঢাকা, ০৪ মার্চ – সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তিন বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, নিয়োগের জন্য আগের মতো একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে সহকারী শিক্ষক পদে এবার বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাঁচ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিগুলো প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনভাগে সব বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ শেষে আগামী মে মাস থেকে পরীক্ষা নেয়া শুরু হবে। প্রথম ধাপে প্রকাশিত রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের পরীক্ষা মে মাসে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তারিখ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এবার বিভাগভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। মে মাসে রংপুর, বরিশাল ও সিলেটে পরীক্ষা নেয়া শেষে বাকি বিভাগের পরীক্ষাগুলোও দ্রুত নেয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

তিন বিভাগের জন্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যেমন শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ ছিল না, তেমনই বাকি পাঁচ বিভাগের জন্য প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতেও শূন্য পদ থাকবে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৬৩। তবে এ পদের সংখ্যা বাড়বে। কারণ, নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে আরও শিক্ষক অবসরে যাবেন।

আগের মতো কোটাপদ্ধতি মেনে নিয়োগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে আগের মতো কোটাপদ্ধতি মেনে এবারও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালায় কোটার বিষয়ে যেভাবে বলা আছে, তা অনুসরণ করে প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হবে।

নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯–এ বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা। এই তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া যাবে।

নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে সেই কোটা-সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৪ মার্চ ২০২৩

Back to top button