এশিয়া

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা কেম সোখার ২৭ বছরের কারাদণ্ড

নম পেন, ০৩ মার্চ – কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা কেম সোখাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই ২৭ বছর তিনি গৃহবন্দী থাকবেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। সোখা বর্তমানে নিষিদ্ধ কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) সাবেক প্রেসিডেন্ট। তাকে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

নমপেন মিউনিসিপ্যালকোর্টের বিচারক জানিয়েছেন, সোখাকে রাজনীতি এবং নির্বাচনে ভোট দেয়া থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্ট ছাড়াই কেম সোখাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর সিএনআরপি দলটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক ও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করে।

কেম সোখাকে কম্বোডিয়ার ফৌজদারি কোডের ৪৪৩ অনুচ্ছেদের অধীনে ‘একটি বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য, এই বিচারকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গ্রেপ্তারের পর প্রত্যন্ত প্রাদেশিক কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল সোখাকে। প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগে বেশ কয়েক দফায় তার জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছিল। প্যারোলে মুক্ত থাকাকালীন তার বিদেশ ভ্রমণ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার অনুমতি ছিল না।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সিএনআরপি’র ওপর ক্র্যাকডাউন শুরু হয়। স্থানীয় নির্বাচনে দারুণ সাড়া ফেলেছিল সিএনআরপি। সবাই প্রত্যাশা করছিল যে নির্বাচনে হুন সেনের ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে কেম সোখার দল।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৩ মার্চ ২০২৩

Back to top button