জাতীয়

মধ্যরাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগ

ঢাকা, ০৩ মার্চ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খানের বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

এসময় তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘আমার ভাই মরবে কেন? প্রশাসন জবাব চাই’।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে শ্রেণীকক্ষে এক শিক্ষার্থীকে ‘অপমান’ করার অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষার্থী এসএম এহসান উল্লাহ ওরফে ধ্রুব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ট্যুরে গিয়েছিলাম। এহসান ধ্রুব গত পরশু আমার রুমে আসে এবং তার এক সহপাঠীকে নিয়ে কটু কথা বলে। আমি তাকে সাধারণভাবে সতর্ক করে দিই। পরে জানতে পারি এহসান যাকে নিয়ে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে তাকে সে পছন্দ করতো। তাকে নাকি প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু, রাজি না হওয়ায় এহসান ক্ষুব্ধ ছিল। আমি তাকে বুঝিয়েছি, বিকেলে ফুচকা খাইয়েছি। তার বাবার সঙ্গেও কথা হয়েছে আমার। এখন রাতে ফেসবুকের একটি পোস্টে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করেছে।’

নিজের ফেসবুকে এহসান পোস্ট করেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সালাম জানবেন। আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমার সাথে দেখা করার। আপনার একটা ছবি তোলার। পূরণ হলো না। জীবনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় না। কি আর করা। কিন্তু আপনার কাছে আমি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার দিয়ে গেলাম।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রিয় তানজিম স্যার, আপনার উপরে আমার আর কোনো রাগ নেই। ভালো থাকবেন।’

ওই ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বাবা মা, ক্ষমা করে দিও। ভেবেছিলাম দোকান ঘুরে ঘুরে দুই একটা করে কিনবো। এক দোকানেই দুইপাতা বিক্রি করলো। সন্দেহ হচ্ছে ঔষধে ভেজাল আছে। যদি ভেজাল না থেকে থাকে তাহলে এন্ড অব দ্যা জার্নি।’

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৩ মার্চ ২০২৩

Back to top button